Advertisement

Madhyamik Result 2024-Fail Candidate : সংক্ষিপ্ত-অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকলেও মাধ্যমিকে ফেল দেড় লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী

মাধ্যমিকের সিলেবাস তুলনামূলকভাবে আগের থেকে এখন সহজ হয়েছে। সংক্ষিপ্ত ও অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বেড়েছে। তারপরও মাধ্যমিকে ফেল করেছে প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী। ২০২৪-র মাধ্যমিকে ফেল করেছে ১ লাখ ৫৭ হাজারেরও বেশি জন।

Exam (File Photo)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 May 2024,
  • अपडेटेड 1:09 PM IST
  • মাধ্যমিকের সিলেবাস তুলনামূলকভাবে আগের থেকে এখন সহজ হয়েছে
  • সংক্ষিপ্ত ও অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বেড়েছে
  • তারপরও মাধ্যমিকে ফেল করেছে প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী

মাধ্যমিকের সিলেবাস তুলনামূলকভাবে আগের থেকে এখন সহজ হয়েছে। সংক্ষিপ্ত ও অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বেড়েছে। তারপরও মাধ্যমিকে ফেল করেছে প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী। ২০২৪-র মাধ্যমিকে ফেল করেছে ১ লাখ ৫৭ হাজারেরও বেশি জন। ফেলের হার প্রায় ১৪ শতাংশ।

২০২৩ সালে মাধ্যমিকে ফেল করেছিল ১ লাখ ১১ হাজার জন। সেখানে এবার সেই সংখ্যাটা অনেকটা বেড়েছে। সংক্ষিপ্ত ও অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও এত জন কেন ফেল করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষাবিদদের মধ্যে। 

কার্যত প্রতিবারের মতো এবারও পাশের হারের ক্ষেত্রে কলকাতাকে পিছনে ফেলেছে জেলাগুলো। ২০২৪ সালে প্রতিবার মাধ্যমিকে পাসের হারে সর্বোচ্চ কালিম্পং। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, পাসের হারে কলকাতা রয়েছে ৩ নম্বরে। চতুর্থ স্থানে পশ্চিম মেদিনীপুর। 

চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৯,২৩,০১৩ জন। এদের মধ্যে ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা- ৪,০৫,৯৯৪। ছাত্রী পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা- ৫,১৭০,১৯ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা- ২৬৭৫টি। চলতি বছর মোট ৭৬৫২৫২ পরীক্ষর্থী পাশ করেছে মাধ্যমিকে। এবার অকৃতকার্য হয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭১৩ জন। এবার অসফল হওয়ার হার প্রায় ১৪ শতাংশ। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হয়েছে ৪৮ জনের। এ বছরের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৮০ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ করছে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিকের প্রথম দশে রয়েছেন ৫৭ জন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৮ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৭ জন, পূর্ব বর্ধমানের ৭ জন, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭ জন, বাঁকুড়ার ৪ জন, বীরভূমের ৩ জন, উত্তর ২৪ পরগনার ২ জন, হাওড়ার ১ জন, মালদহের ৪ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৪ জন, কোচবিহারের ২ জন, হুগলি থেকে ২ জন, নদিয়ার ২ জন, হাওড়ার ১ জন, ঝাড়গ্রামের ১ জন, কলকাতার ১ জন, পুরুলিয়ার ১ জন, উত্তর দিনাজপুরের ১ জন।

Advertisement

মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে চন্দ্রচূড় সেন। তিনি কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। দ্বিতীয় স্থানে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের সাম্যপ্রিয় গুরু (৬৯২)। এ বছর মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানাধিকারী বালুরঘাট হাই স্কুলের উদয়ন প্রসাদ, বীরভূম নিউ ইন্টিগ্রেটেড হাই স্কুলের পুষ্পিতা বাঁশুরি এবং নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের নৈর্ঋতরঞ্জন পাল। তাঁদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। 

চতুর্থ হয়েছেন তপোজ্যোতি মণ্ডল, কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন (৬৯০)। পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পারুলডাঙ্গা নসরতপুর হাইস্কুলের অর্ঘ্যদীপ বসাক। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের কৃষানু সাহা, মালদার মোজামপুর হাইস্কুলের মহম্মদ শাহাবুদ্দিন আলি। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র কৌস্তভ সাহু, নদিয়ার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অলিভ গায়েন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। সপ্তম স্থানে রয়েছেন বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের আবৃত্তি ঘটক ও অর্পিতা ঘোষ, বালুরঘাট হাইস্কুলের সাত্বত দে, বীরভূমের সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দিরের ছাত্র আরত্রীক সৌ, পূর্ব মেদিনীপুরের জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের ছাত্র সুপম কুমার রায়, বিবেকানন্দ আশ্রম শিক্ষায়তনের ছাত্র কৌস্তভ মাল এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র আলেখ্য মাইতিও। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। অষ্টম স্থানে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের ছাত্র দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুলের ছাত্রী তনুকা পাল, নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র হৃদি মল্লিক। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। নবম স্থানে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ শিক্ষামন্দির হাইস্কুলের সায়ক শাসমল, সাগর জানা, বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম শিক্ষায়তনের ছাত্র সাগ্নিক ঘটক, নদিয়ার চাকদা রামলাল অ্যাকাডেমির ছাত্র জিষ্ণু দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র ঋতব্রত নাথ, ঋত্বিক দত্ত, সারদা বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের ছাত্র সায়নদীপ মান্না, শ্যামপুর হাইস্কুলের ছাত্র অরণ্যদেব বর্মন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement