Advertisement

অপেক্ষা ভারবহন পরীক্ষার, তারপরেই চালু মাঝেরহাট সেতু

ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতু (Majherhat Bridge) নতুন করে নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছে রাজ্য সরকার। এবার যাওয়া এবং আসা দুই দিকেই বিটুমিন ও কংক্রিট করে হেভিওয়েট রোলার চালিয়ে নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করালেন পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা। এদিকে ইতিমধ্যেই বজবজ লাইনের উপরে সেতুর অংশের 'সেফটি-সিকিউরিটি' (Safety Security)সার্টিফিকেট এবং বহন ক্ষমতা (Load Testing)পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে রেলকে চিঠি পাঠিয়েছিল পূর্ত দফতর। রেলের তরফে সেই সবুজ সংকেতও এসে গিয়েছে। এবিষয়ে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানাচ্ছেন, "ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা ও পাশের কেবল ফিক্সড সম্পূর্ণ করলেই সেতু চালু করা যাবে। জানা গেছে কেবল ফিক্সড নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়াররা খুবই সতর্ক ভাবে এবং সুক্ষ্ম নজরদারির মধ্যে দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। অরূপবাবু আরও জানাচ্ছেন,"রেলের সেফটি ও সিকিউরিটি সার্টিফিকেট পেলে সেতুটির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়" (Mamata Banerjee)।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 09 Nov 2020,
  • अपडेटेड 8:36 PM IST
  • ভারবহন ও কেবল ফিক্সডের পরেই চালু করা যাবে মাঝেরহাট সেতু
  • কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে ভারবহন ক্ষমতার পরীক্ষা
  • সেতুর সর্বাধিক ভারবহন ক্ষমতা ৩৮৫ টন

ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতু (Majherhat Bridge) নতুন করে নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছে রাজ্য সরকার। এবার যাওয়া এবং আসা দুই দিকেই বিটুমিন ও কংক্রিট করে হেভিওয়েট রোলার চালিয়ে নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করালেন পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা। এদিকে ইতিমধ্যেই বজবজ লাইনের উপরে সেতুর অংশের 'সেফটি-সিকিউরিটি' (Safety Security)সার্টিফিকেট এবং বহন ক্ষমতা (Load Testing)পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে রেলকে চিঠি পাঠিয়েছিল পূর্ত দফতর। রেলের তরফে সেই সবুজ সংকেতও এসে গিয়েছে। এবিষয়ে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানাচ্ছেন, "ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা ও পাশের কেবল ফিক্সড সম্পূর্ণ করলেই সেতু  চালু করা যাবে। জানা গেছে কেবল ফিক্সড নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়াররা খুবই সতর্ক ভাবে এবং সুক্ষ্ম নজরদারির মধ্যে দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। অরূপবাবু আরও জানাচ্ছেন,"রেলের সেফটি ও সিকিউরিটি সার্টিফিকেট পেলে সেতুটির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়" (Mamata Banerjee)।

২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। প্রাণ হারান ৫ জন। আহত হন বেশ কয়েকজন। পূর্ত দফতরকে নতুন সেতু তৈরির দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রেলের অনুমতির জন্য কাজ শুরু করতেই লেগে যায় ৯ মাস। এরপর গত মার্চ মাস থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনমাসের বেশি সময় সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল নির্মাণ কাজ। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ধাঁচে ২৫০ কোটি টাকা খরচে ৬৫০ মিটার দীর্ঘ এই নতুন সেতু তৈরি করা হয়েছে। নতুন মাজেরহাট সেতুটি চার লেনের। নতুন এই সেতুটির ২২৭ মিটার অংশ কেবলের মাধ্যমে ঝুলন্ত অবস্থায় তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ মিটার সেতু রেলের লাইনের উপরে ঝুলছে। জানা গেছে, রেল লাইনের মাঝখানের পুরোনো পিলার তিনটি শীঘ্রই ভেঙে ফেলা হবে। এবিষয়ে পূর্ত দফতরের ভারপ্রাপ্ত শীর্ষকর্তা জানাচ্ছেন, "নতুন সেতুর নির্মাণ শেষ হওয়ার পর ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা ও কেবল ফিক্সড করাটা আরও কঠিন কাজ। সেটাই এখনও বাকি"। ব্রিজটি চালু হলে ফের কলকাতার সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও শহরতলির যাতায়াত আগের মতোই সহজ হয়ে যাবে। কয়েকদিনের মধ্যেই পূর্ত দফতর ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষা শুরু করবে বলে জানা গেছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, নতুন সেতুর ভারবহন ক্ষমতা সর্বাধিক ৩৮৫ টন। পূর্ত দপ্তর সূত্রে খবর, মালভর্তি অনেকগুলি ট্রাক একসঙ্গে ব্রিজের উপর তুলে ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে। যখন সর্বাধিক লোড হবে তখন কেবলের সম্প্রসারণ এবং ভারহীন অবস্থায় কতটা সংকোচন হয় তা বিশেষ মানের সেন্সর লাগিয়ে পরীক্ষা করবেন পূর্ত দপ্তরের বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়াররা। সেতুটি চালুর হওয়ার পরেও এই সেন্সর ২৪ ঘণ্টাই কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা। ২৫ নভেম্বর সেতুটির চূড়ান্ত পরিদর্শন করবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement