Mamata Banerjee Dakshineshwar Helipad Services: দক্ষিণেশ্বরে হবে হেলিপ্যাড সার্ভিস। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি সেখানকার লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের উদ্বোধন করেন।
কালীঘাটের উন্নয়ন
তিনি বলেন, "কালীঘাটে হাত দিয়েছি। ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে স্কাই ওয়াই তৈরি হচ্ছে। কালীঘাটে জায়গা খুব ছোট। আমি প্ল্যান দিয়েছি। দক্ষিণেশ্বর এর আগে এত ভাল দেখিনি। ভোরবেলা আরতি দেখেছি। আগে এসেছি। আজ দক্ষিণশ্বর চোখ মেলে ভাল করে পুরোটা দেখলাম। দেখে মনে হল, একটা আন্তর্জাতিক স্তরের সুন্দর জায়গা।
মমতা বলেন, হেরিটেজ, ট্র্যাডিশনাল, রিলিজিয়াস ব্য়াকগ্রাউন্ড রয়েছে ওদের। সব আছে ওঁদের। এখন জেটি সার্ভিস হয়ে গেছে। রেল সার্ভিস হয়ে গেছে। একদিন হেলিপ্যাড সার্ভিসও করে দেব আমরা।" চাকলা ধাম থেকে শুরু করে, সারা বাংলা জুড়ে ধর্মের অনেক কাজ করেছি। এমন কোথাও নেই, যা করিনি। বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বেড়েছে মেয়েদের: সমীক্ষা
আরও পড়ুন: রিওয়ার্ড, ডিসকাউন্ট থেকে ইনসুরেন্স কভার, LIC ক্রেডিট কার্ডের ফায়দা কী কী?
আরও পড়ুন: হাওড়ার তালিত গুডস শেড থেকে পাঠানো হল বালি, এই প্রথম
দক্ষিণেশ্বরে মমতা বলেন, একটা ধর্ম করি বলে অন্য ধর্মকে গালাগাল করব, এই শিক্ষা পাইনি। সবাইকেই বুঝতে হবে। একটা ধর্মের কথা বলছি না। সব ধর্মকে বলছি।
দাঙ্গার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা
এদিন মমতা বলেন, "দাঙ্গা করে কিছু লোভী নেতা। যাঁদের মাথা নোংরা ডাস্টবিনে ভর্তি। জঞ্জাল তৈরি করে আগুন লাগায়। গাড়ি পোড়ায়।" আমি নাকি নমাজ পড়ি। আমি ইফতারে যাই। আমি জৈন মন্দিরে যাই। আপত্তির কী আছে? ইচ্ছা করে। তারাপীঠে কী বিরাট ভোগ মন্দির। সব করে দিলাম। নবদ্বীপ, কোচবিহারে হেরিটেড সিটি করে দিয়েছি। বাংলা এমন জায়গা যেখানে দুটো হেরিটেজ সিটি করে দিয়েছি।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির নিয়ে
তিনি বলেন, "অনেক ইতিহাস তো আমাদেরও জানা নেই। ২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। হৃদয় বড় করতে হলে মায়ের কাছে আশ্রয় নিয়ে হয়। তা আম্মা, মাদার, মা হতে পারে। রানি রাসমণি ৭১ নম্বর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে স্নান করতে যেতেন। সব ঠিকা জমির মালিক রানি রাসমণি। ছোটবেলায় শুনেছি রানি রাসমণি বাড়ির কাছের ঘাটে স্নাস করতে আসতেন। সেই জায়গাটা বাধিয়ে দিয়েছি।"
সেই কাঠামো একই রাখা
মমতা বলেন, মা-বাবা বলেছিলেন, "এর কাঠামো কখনও চেঞ্জ কোরো না। অনেকে আমাকে গালাগাল দেন। সেটা একটা আর্ট। মানবিক ভাণ্ডার তৈরি করি। কুচুটে কৈকেয়ীর মতো। হৃদয় খোলা না, বন্ধ। মন ডাস্টবিনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। যে প্রচার, কুৎসা, অপপ্রচার করছে, তা ওই ডাস্টবিন থেকে। আপনি কেমন, তা আপনার মন বলবে। এখন ছোটদের আইকিউ খুব ভাল।"
তিনি বলেন, "টাকা কখনও মানবিকতার জন্ম দিতে পারে না। অর্থবল, পেশিবল মানবিকতার জন্ম দিতে পারে না। যে হৃদয়ে মানবিকতা নেই, সেটা মরুভূমি। তপোবনের মুনি-ঋষিরা যে কথা বলেছিলেন, সেগুলো কী বলেছিলেন? রামকৃষ্ণ কী বলেছিলেন? টাকা মাটি মাটি টাকা। গাড়ি-বাড়ি থাকবে। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করবে। প্রয়োজনের থেকে বেশি যাঁদের। আজ আছি কাল নেই।"
দাঙ্গা করে কিছু লোভী নেতা
তিনি আরও বলেন, "সবাইকেই বুঝতে হবে। একটা ধর্মের কথা বলছি না। সব ধর্মকে বলছি। দাঙ্গা করে কিছু লোভী নেতা। যাদের মাথা নোংরা ডাস্টবিনে ভর্তি। জঞ্জাল তৈরি করে আগুন লাগায়। গাড়ি পোড়ায়। যখন তখন বসে পড়ছে। যদি একটি রবীন্দ্রনাথ পড়ি, বর্ণপরিচয় পড়ি, তাহলে সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াতে হবে না।"
এদিন মমতা বলেন, "একটা ধর্ম করি বলে অন্য ধর্মকে গালাগাল করব, এই শিক্ষা পাইনি। মা-বাবা ব্রেন ডাস্টবিন তৈরি করতে দেননি। তাঁরা শিখেছেয়েন জীবনটা খুব ছোট। একটা কথা রাখতে পারিনি, অপ্রিয় সত্য কথা বলতে নেই। তবে পট করে বলে ফেলি।"