রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বড় খবর। তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক দিবসে এই টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করেন তিনি। জানান, এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হবেন।
এদিন শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৯ লাখ ৭৮ হাজার ১২ জনকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তাঁদের এই টাকা কাজে লাগবে। গত তিন বছর ধরে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'আমরা ২৭ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে এই টাকা দিয়েছি। প্রতিবারই দেওয়া হয়। এতে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম তরুণের স্বপ্ন।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, 'তরুণের স্বপ্ন নামে একটা বই রয়েছে নেতাজির নামে। সেখান থেকেই এই নাম নেওয়া হয়েছে। কোভিডের সময় থেকে এই মোবাইল বা ট্যাব দেওয়ার আইডিয়া এসেছিল। ক্লাস নাইনের ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা সাইকেল দিই। যখন ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজ যেতে পারত না কোভিডের কারণে, সেই সময় এই প্রকল্প শুরু হয়।'
প্রসঙ্গত, যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তাঁদের অ্যাকাউন্টে ফোন কেনার জন্য ঢুকতে চলেছে ১০ হাজার টাকা।পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত স্কুল বা মাদ্রাসার পড়ুয়ারা এই আর্থিক সহায়তা পাবেন। তবে এই টাকা পাবে শুধু মাত্র ক্লাস টুয়েলভের ছাত্র-ছাত্রীরা।
রাজ্য সরকার আগেই জানিয়েছে, এই ১০ হাজার টাকা সেই সব পড়ুয়ারা পাবেন, যাঁদের পারিবারিক আয় প্রতি বছর ২ লক্ষ টাকার নিচে।
জানা গেছে, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসেই ফোন বা ট্যাবের ১০ হাজার টাকা ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে যাবে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের এখনো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবেএবং স্কুল থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আধার কার্ড সহ অন্যান্য নথি স্কুলের কাছে জমা করতে হবে। যাতে ট্যাবের টাকা পেতে কোন অসুবিধা না হয়।
এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে অনলাইনে আবেদন করা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীরা নিজের স্কুল মারফৎ আবেদন করতে পারবে। এর জন্য বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে এবং নির্দেশ অনুযায়ী সময়ের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিদ্যালয়ে জমা করতে হবে। প্রথমে আবেদনকারীকে এই প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। স্কুল থেকেই দেওয়া হবে ফর্মটি। এছাড়াই অনলাইনেও ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারবে তারা।