CM Junior Doctor Meeting: নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টি চলছে। অতিবৃষ্টির জেরে জলমগ্ন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। তার মধ্যেই জল ছেড়েছে ডিভিসি। মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকেও ৪৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার রাত ১২ টা নাগাদ জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন। এমনকী বৈঠকেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে অনেকে অসুস্থ হবে। চিকিৎসকদের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর চিকিৎসকদের প্রতি কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার অনুরোধের এটাও অন্যতম আবেদন ছিল।
মমতা বৈঠক শেষে বলেন, "মাইথন, পাঞ্চেত এবং ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হয়েছে। রাজ্যকে না জানিয়ে বিপুল জল ছাড়া হয়েছে। মানুষের ভোগান্তি হবে। সে কারণে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনুরোধ জানিয়েছি, অনেকে চিকিৎসার জন্য আসবেন এই পরিস্থিতিতে। যাতে আপনাদের প্রয়োজন রয়েছে।"
তিনি জানান খানাকুলে ৩৫ জন আটকে। রাত হয়ে গেছে। চিন্তায় আছি। হঠাৎ জল ছেড়েছে ডিভিসি। হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে তিনবার কথা বলেছি। জানি না কী হবে। বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনার অনেকটাই ক্ষতির মুখে। আমি নিজে আদি গঙ্গার সামনে থাকি। এতটা জল আসতে দেখিনি। আমরা সিঁড়ি বানিয়ে দিয়েছিলাম। চোদ্দ-পনেরোটা সিঁড়ি ছিল। আর একটা দুটো বাকি আছে। ওদের বারণ সত্বেও যদি জল ছেড়ে দেয় তাহলে বন্যা আটকানো যাবে না।
সোমবার মাইথন থেকে ১০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে খবর। তার ফলে গ্রামবাংলায় এখন বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুতরাং এই অবস্থায় মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এই আবহে প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করার জন্য মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বানভাসী এলাকাগুলিতে দুর্গতদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই একাধিক এলাকা পরিদর্শন করতে পৌঁছে যান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। হুগলি জেলায় নানা এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। ঘাটালের জলমগ্ন এলাকাগুলির পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন সাংসদ দেবও। বিপন্নদের হাতে ত্রান এবং নানা খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। আরও বেশ কিছু সাহায্য করা হবে দুর্গত মানুষজনকে।