‘এসএসকেএম ভুল চিকিৎসা করেছিল’, বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে নিজেই একথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে?
দিলীপের কথায়, “এসএসকেএম রাজ্যের অন্যতম নামী সরকারি হাসপাতাল। সেখানে যদি খোদ মুখ্যমন্ত্রীরই ভুল চিকিৎসা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?”
পায়ের চোটের কারণে প্রায় এক মাস চলাফেরা করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি থেকেই সামলেছেন নবান্নের প্রশাসনিক কাজকর্ম। ওই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বলেন, “এক মাস হল, কেন উনি হাঁটতে পারছেন না?'' এরপরই দিলীপের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যা হল, তার জন্য অবিলম্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে শোকজ করা উচিত।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তিনিই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই তথ্য দিলীপ ঘোষেরও অজানা নয়। প্রকারন্তরে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যতে হাতিয়ার করেই তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে প্রথমবার বাঁ পায়ে ও কোমরে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর বাঁ হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। পরে স্পেন সফরে গিয়ে তাঁর পায়ের ব্যথা ফের বাড়ে। ফের এসএসকেএমে চিকিৎসা হয় তাঁর।
বুধবার ওই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “আমার পায়ে সংক্রমণটা সেপটিক টাইপের হয়ে গিয়েছিল ভুল চিকিৎসার জন্য। হাতে স্যালাইনের চ্যানেলের মতো করে চ্যানেল লাগানো হয়েছিল। সাতদিন চ্যানেল করা ছিল। আইভি চলছিল। বিছানা থেকে উঠতেই পারিনি।”