একুশের মঞ্চ থেকেই দলের নেতাদের সতর্ক করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার মঞ্চে উঠেই দলের কর্মী ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান মমতা। সূত্রের খবর, দলের একাংশ বড়-মেজ-ছোট নেতার আচরণে তিনি মোটেও খুশি নন। মমতা বলেন, 'আমরা মানুষের সামাজিক বন্ধু হব। আমি বিবেকবান চাই, বিত্তবান চাইনা। পয়সা আসে চলে যায়, সেবার কোনও বিকল্প নেই। আমি সব পুরসভা, পঞ্চায়েত, এমএলএ, এমপিদের বলব, এখন থেকে যেন কোনও অভিযোগ যেন আমরা না পাই। পেলে কিন্তু উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেব। ঘরে যেটা রয়েছে, সেটা খেয়ে বেঁচে থাকুন। লোভ করবেন না, অন্যায় করবেন না, অন্যায় সহ্য করবেন না। মা বোনেদের সম্মান দেবেন আরও বেশি করে।'
মমতা আরও বলেন, 'আমরা যত জিতব, তত আমাদের দায়িত্ব বাড়বে। আমরা যত জিতব, তত মানুষের কর্মী হতে পারব। তৃণমূল কংগ্রেস একটা সেবার কাজকর্মের প্ল্যাটফর্ম। আমরা বিত্তবান চাইনা, বিবেকবান চাই। উত্তরবঙ্গে আমাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। আমি আশাকারি আগামীদিনে উত্তরবঙ্গের মানুষ আমাদের সমর্থন দেবেন। মালদা ২০২৬ এ আমরা পাবই। আমার বিশ্বাস রয়েছে। কোচবিহারের মানুষকে ধন্যবাদ। রায়গঞ্জের মানুষকেও আমাদের ধন্যাবাদ। বরাহনগরের উপনির্বাচনেও আমাদের জিতিয়েছেন।'
এদিন তৃণমূলনেত্রী মমতা দাবি, 'আমরা দায়িত্বে আসার কয়েকবছর আগেও বাংলার দারিদ্র সীমার নীচে ছিলেন ৫৭.৬০ শতাংশ মানুষ। এখন মাত্র ৮ পার্সেন্ট। ওটাও আমরা জিরো করে দেব। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর জন্য আমরা ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। স্বাস্থ্যসাথীতে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি চিকিৎসা দিয়েছি। যারা গুলির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে, তাঁরা বৃষ্টিতে কী ভয় পাবে। ভয় পাবেন না। এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলকে কিছু করা যাবে না। অনেক তো করলেন আবার কী। তৃণমূলের বুকের রক্ত থাকতে আমরা হাত মেলাব না। এটা আমাদের কাজ নয়। আমরা সবাই সবার জন্য।'