আরজি কর কাণ্ডে জটিলতা কাটাতে আজ, সোমবার নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে বাদানুবাদ হয় চিকিৎসকদের। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখনও জট কাটেনি। এদিন বৈঠকে মমতা নিজের অনশনের কথাও উল্লেখ করেন আরও একবার। বলেন, 'আমি সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশনে বসেছিলাম কলকাতায়। কেউ দেখা করতে আসেনি। শুধু তখনকার রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এসেছিলেন।'
এদিন বিকেলে নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি করে থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল এখানে উপস্থিত রয়েছেন। আপনিও তো ৪৭ জন ছাত্রকে সাসপেন্ড করেছেন। আমাকে তো জানান নি? আপনার প্রথমে রেকমেনডেশন পাঠানো উচিত ছিল স্বাস্থ্য দফতরকে। স্বাস্থ্য দফতর আমাদের সঙ্গে আলোচনা করত। তা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা কি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?”
উল্লেখ্য, এদিন আন্দোলনকারীদের তরফে অনিকেত মাহাত জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাতে মোটেই খুশি নন মমতা। বললেন, 'আপনারা চাইলেই সব কিছু করতে পারেন না। সরকার বলে একটা পদার্থ আছে। সব কিছুর একটা সিস্টেম আছে। যাকে পছন্দ হল না সরিয়ে ফেললাম, এটা হতে পারে না।'
এদিকে, নাম না করে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন কিঞ্জল, অনিকেতরা। কলেজ চত্বরে তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ তুললেন তাঁরা। পালটা দিলেন মমতা। স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। এর পরই অনিকেত বলেন, আপনার যদি মনে হয় যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তারা নির্দোষ, কাউন্সিল ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাহলে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে পারেন।