সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনেই ১০ জনের পরিবর্তে ১৭ জনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব ঘোষণা মতোই বিকেল ৫ টা থেকে নবান্ন সভাঘরে শুরু হয়েছে বৈঠক। এদিনের বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
বৈঠকে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে কিঞ্জল নন্দা ও অনিকেত মাহাতো থ্রেট কালচার নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন। কিঞ্জল বলেন, 'আমরা থ্রেট কালচার নিয়ে কথা বলেছি, অথচ আজকেও দেখেছি ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে অভিযুক্তরা প্রিন্সিপালের অফিসে তালা লাগিয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে যারা ভাঙচুর করল তাদের ছেড়ে দেওয়া হল, এই ঘটনায় আপনার মতামত আমরা জানতে চাই।'
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের অনিকেত মাহাতো বলেন, 'আমরা কেন এত কমিটি চাইছি। এই জায়গাটা ভাবে দেখতে পারেন। ৯ অগাস্টের যে ঘটনা ঘটে। আমারই ধারণা ছিল না কীরকম অপরাধ হচ্ছিল। পরে জানতে পারি ৩-৪ বছর কিছু ছেলে যেভাবে নারকীয় যন্ত্রনার সঙ্গে কাটিয়েছে...কিছু ছেলেমেয়েকে সেক্সুয়াল মলেস্ট্রেশন করা হয়েছে। টাকা তোলা থেকে হ্যারাসমেন্ট সবই হয়েছে। কলেজে পড়তে যাওয়ার ন্যুনতম পরিবেশ ছিলনা। কোনও মেয়ের সঙ্গে কিছু ঘটলে যে বলার জায়গাটাও ছিল না। নিজের যন্ত্রণা বলার জায়গা যেন থাকে।'
অনিকেত আরও বলেন, 'অন্যান্য কলেজগুলিতেও মেয়েদের জায়গাটা যেন নিরাপদ থাকে। নিরপেক্ষ তদন্তটুকু হোক। অভয়ার সঙ্গে কী হয়েছিল, সেটা অন্তত সামনে আসুক।'
এছাড়াও জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নির্বাচন দাবি করেছেন। আরজি করের ঘটনাকে তাঁরা 'সিস্টেম্যাটিক ফেলিওর' বলে দাবি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, 'থ্রেট কালচার নিয়ে আমাদের যে বক্তব্য, স্টেট লেভেলের যে সেল রয়েছে, কলেজ লেভেলের সে সেল রয়েছে সেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধি প্রয়োজন। এর ভুক্তভোগী আমরা।'