আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হতে চলেছে। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ওই দিন রাম মন্দিরে উদ্বোধনে থাকবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি থাকবেন?
বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডুমুরজলার হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে উত্তর ২৪ পরগনার চাকলায় সরকারি অনুষ্ঠানে যান মুখ্যমন্ত্রী। কপ্টার ধরার আগে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনি কি অযোধ্যায় যাবেন? মুখ্যমন্ত্রী জবাব দেন, 'তোমরা সব জেনে বসে আছ, আমি তো কিছু জানি না।' তার পর হাঁটা দেন হেলিপ্যাডের দিকে।
তবে তৃণমূল যে রাম মন্দির উদ্বোধনে থাকবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। তাদের মতে, রামকে নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, 'আমরা রামকে পুজো করি। বাড়িতে করি, হৃদয়ে করি, মন্দিরে করি। কিন্তু বিজেপি রামকে নির্বাচনী অ্যাজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে ওদের কোনও ইভেন্ট আমরা সমর্থন করি না।'
সূত্রের খবর, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকার জন্য সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরই আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনে তৃণমূল হাজির থাকলে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটে প্রভাব পড়তে পারে। তাছাড়া রাম মন্দির উদ্বোধন যতটা না ধর্মীয় অনুষ্ঠান তার থেকেও বেশি বিজেপির রাজনৈতিক প্রচারের অভিসন্ধি বলে মনে করেছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, এ দিন চাকলায় মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, এ রাজ্যের তীর্থস্থানগুলির উন্নয়ন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দক্ষিণশ্বরে বসেছে স্কাইওয়াক। অনুরূপ স্কাইওয়াক তৈরি হচ্ছে কালীঘাটেও। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরও তৈরি করছে সরকার।