রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে এবার সরাসরি দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, "জৈন হাওয়ালা মামলায় কে যুক্ত ছিলেন? চার্জশিটে নাম ছিল কি না প্রকাশ করুন।" মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "যেভাবে কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোট হয়েছে, সবাই জানে। অফিসার-পর্যবেক্ষকদের পরিবর্তে রাজনৈতিক কমিশন ভোট করিয়েছে। ভুয়ো খবর ছড়িয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারের চেষ্টা করা হচ্ছে।"
রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফর নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যপাল এখন কেন উত্তরবঙ্গে গেলেন? আমি এইরকম রাজ্যপাল আগে দেখিনি। রাজ্যপালকে অপসারণের জন্য ৩টি চিঠি লিখেছি। জিটিএ নিয়ে তদন্তের আগে রাজ্যপালের সফরের তদন্ত হওয়া উচিত। কাদের নিয়ে গিয়েছেন? কত টাকা খরচ হয়েছে, সব তদন্ত হওয়া উচিত? দার্জিলিং-এর ওপরে এত রাগ কেন? যা ইচ্ছা তাই করবেন! মেনে নেব না। উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করতে জেনেবুঝে দার্জিলিং-এ গিয়েছেন রাজ্যপাল। শুধু বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করতে আন্দোলন গড়ে তুলতে বলছেন। এটা রাজ্যপালের কাজ নয়।"
ইতিমধ্যেই দার্জিলিং-এর গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশান বা জিটিএ-তে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পাহাড়ের উন্নয়নের পরিবর্তে জিটিএ-র মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। একইসঙ্গে স্বচ্ছতার দাবিতে অবিলম্বে অডিটের দাবিও তুলেছেন জগদীপ ধনখড়।
এদিকে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন পালটা সরব হয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের তোলা অভিযোগের কোনও জবাব না দিয়ে অন্য কথা বলছেন। রাজ্যপালের অভিযোগের জবাব দিন। দুর্নীতি হলে কারা জড়িত, তার তদন্ত হচ্ছে না কেন? রাজ্যপাল যে অভিযোগ করেছেন তা রাজ্যবাসীর অভিযোগ। রাজ্যপাল দুর্নীতিগ্রস্ত কি না তার জবাব রাজ্যপাল দেবেন।?"