ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা ফেরত আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের SSKM-এ দেখতে যান তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেকের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করেন।
অভিষেককে নিয়ে মমতার আশঙ্কা
রবিবার ত্রিপুরা গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েকদিন আগেও ত্রিপুরা সফলে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেদিন তাঁর গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অভিষেকের প্রাণ সংশয় রয়েছে। অভিষেক প্লেনে গেলে ওর পাশে পাঁচটা সিট বুক করে সেখানে গুন্ডা তুলে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং অভিষেকের জীবন বিপন্ন।'
আরও পড়ুন : সোমবার অ্যাকাউন্টে আসবে টাকা, আপনি পাবেন কিনা কীভাবে জানবেন?
ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলাও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে হয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে হামলা হয়েছে। না হলে বিপ্লবের এত সাহস হত না। ছাত্রদের গর্জে ওঠা উচিত। যেভাবে সুদীপকে আক্রমণ করা হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি। কোর্ট বেল দেওয়ার পর আবার কেস দেওয়া হয়েছে। এরাই বাংলা এসে ঘুরে বেড়াচ্ছে, নৃত্য করে বেরাচ্ছে। বাইরের লোক আনা হয়েছিল ভোটের সময়। ত্রিপুর আর বাংলার মধ্যো কোনও পার্থক্য নেই।'
আরও পড়ুন : 'সারাদিন থানায় বসে থাকব', পুলিশ আধিকারিককে হুঁশিয়ারি অভিষেকের
মমতার আরও সংযোজন, 'পাথর মারা হয়েছে। গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কান ফাটিয়ে দেওয়া হযেছে। পুলিশের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে মেরেছে। ৩৬ ঘণ্টায় এক গ্লাস পানীয় জল দেওয়া হয়নি। লক আপে ছিল, থানায় ছিল কাউকে এক গ্লাস জল দেয়নি। নারকীয় রাজ্য চালাচ্ছে। অসমে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। অভিষেকেরে গাড়িতে যে ভাবে মারা হয়েছে। সবটাই পুলিশের সামনে হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার অভিষেকের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনের আগে একই আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রীর কথায়। আবার যখন বর্ধমানে গাড়ি দুর্ঘটনা হয় তখনও মমতা দাবি করেছিলেন, অভিষেককে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল।