২০১৬ সালের SSC-র প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এরইমধ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দাঁতনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের যাতে ভোটের কাজে লাগাতে পারে সেই জন্য এই রাজ্যের শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'আসল কায়দাটা কী জানেন তো এদের চাকরিটা বাতিল করে বলবে এরা যেন কেউ ভোটে কাজ করতে না পারে। আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী যারা আছে তারা যেন ভোটে কাজ করে। তাই বাংলার ছেলে-মেয়েদের তারা বিশ্বাস করে না। তারা চায় না, বাংলার ছেলে মেয়েরা ভোটে যেন কাজ না করে।'
প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি যাওয়ার যে রায় তার সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আরও অনেকের চাকরি চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, '২৬ হাজার জনের চাকরি মানে আড়াই লাখ মানুষ। এরপর যদি আরও চাকরি যায় তাহলে কোথায় যাবে মানুষ? আমার কাছে আরও ১০ লাখ চাকরি রেডি আছে। কিন্তু বোমা ফাটাবে বলে এসব করছে। সেইজন্য আপনাদের বলছি, চাকরি পেতে চাইলে ভোট দিতে হবে তৃণমূলকে।'
প্রসঙ্গত, এসএসসি-র চাকরি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন। চাকরি প্রার্থীদের পক্ষে আবেদন করেছে তারা। তারইমধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এসএসসি জানিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল কোর্টকে। কোর্ট সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফের ১৮ ডিসেম্বর দেওয়া হয়েছিল হলফনামা।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, 'একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে ৩৯ জন, তাদের নাম-রোল নম্বর সহ তালিকা দেওয়া হয়। ওই একই দিনে আমরা গ্রুপ সি oMR ইস্যু ছিল ৭৮৩ জনের। আমরা যাদের সুপারিশ পত্র দিয়েছি। তাদের বিবরণ আমরা দিই।' তিনি আরও বলেন, 'এছাড়াও আপনারা জানেনে যে গ্রুপ সি এবং ডি-এর ক্ষেত্রে আমি এই চেয়ারে বসার আগে দু'টো বিপরীত ধর্মী হলফনামা গিয়েছিল। SSC-র পক্ষ থেকে যে সুপারিশ পত্র যায়নি, রিজিওনাল কমিশনের রেকর্ড অনুসারে। বোর্ড বলেছে রেকমেন্ডেশন পেয়েই তাঁরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছেন।'