Advertisement

Mamata Banerjee : 'পুলিশ-নেতা সবাই টাকা খাচ্ছে, লজ্জা করে না?' পুরপরিষেবা-জমি দখল নিয়ে তিরস্কার মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কেউ টাকা খেয়ে, কেউ খাইয়ে, একটা গ্রুপ তৈরি করে এগুলো চলছে। মানুষ যদি উন্নয়নে কাজ না পায় তাহলে পৌরসভা, পঞ্চায়েত রাখার দরকার কী। যদি উন্নয়ন না পায় তাহলে এসব রেখে কী লাভ।'

Mamata Banerjee
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Jun 2024,
  • अपडेटेड 4:53 PM IST
  • নেতা-মন্ত্রী-পুলিশ-পুরপ্রশাকদের চরম তিরস্কার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের
  • সরকারি জমি দখল থেকে শুরু করে পুর পুরসভা, বেআইনি বাড়ি নির্মাণ নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়

নবান্নের সভাঘর থেকে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী-পুলিশ ও পুর প্রশাকদের একাংশকে চরম ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সরকারি জমি দখল থেকে শুরু করে পুরসভার পরিষেবা, বেআইনি বাড়ি নির্মাণ নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি হাওড়া-সহ একাধিক পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সাফ জানান, এসব বরদাস্ত করা হবে না। টাকার বিনিময়ে বেআইনি কাজ করছে নেতা-মন্ত্রী-পুলিশের একাংশ। এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কেউ টাকা খেয়ে, কেউ খাইয়ে, একটা গ্রুপ তৈরি করে এগুলো চলছে। মানুষ যদি উন্নয়নে কাজ না পায় তাহলে পৌরসভা, পঞ্চায়েত রাখার দরকার কী। যদি উন্নয়ন না পায় তাহলে এসব রেখে কী লাভ।' 

হাওড়াতে বেআইনি বিল্ডিং নির্মাণ হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। জানান, 'সারা হাওড়াতে বেআইনি বিল্ডিংয়ে ভরে গেছে। হাওড়ার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। কেউ টাকা খেয়ে, কেউ টাকা খাইয়ে কাজ করছে। প্ল্যান পাশ করতে গিয়ে মানুষ হয়রানির শিকার হতে হয়। অনলাইন করার পরও সেটা মানা হচ্ছে না। আমি সবাইকে বলছি। পুলিশ, জনপ্রতিনিধি সবাইকে।'

রাজ্য সরকারের জমিও বেচে দেওয়া হচ্ছে বা দখল করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বলেন, 'খালি জায়গা দেখলেই লোক বসিয়ে দিচ্ছে। বাংলার পরিচিতি নষ্ট হচ্ছে। আপনাদের টাকা খাওয়ার জন্য। জমি বেচে দিচ্ছেন। দখলদারি করিয়ে দিচ্ছেন। খুব খারাপ। পুরসভার খুব খারাপ ফলাফল। জমি সংরক্ষণের কেন কোনও ব্যবস্থা নেই? ভ্যাট পরিষ্কার হয় না। যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি কী করছেন? হাওড়া পুরসভার এসডিও কী করছেন?'

মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন, সলিড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'নিজেরা খাচ্ছেন বা খাচ্ছেন না আমি জানি না। আমি সরি। এগুলো বলতে হচ্ছে। আমি খুব লজ্জিত। আমি রাস্তা দিয়ে গেলে লাইট খারাপ হলে ফোন করি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইট জ্বলছে। কলের জল পড়েই যাচ্ছে। ঢাকনা করলেও ঢাকনা খুলে বিক্রি করে দেয় অনেকে। আমরা তাহলে কেন অটোমেটিক সিস্টেমে যাব না। অথবা প্লাস্টিক টাইপের কিছু লাগাতে পারব না?' 

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি অভিযোগ, টাকা খাচ্ছেন নেতা-প্রশাসকরা। বলেন, 'আপনারা ভ্যাটগুলো দেখেন না। লজ্জাও লাগে না। আপনাদের টাকাগুলো যাচ্ছে কোথায়। হাওড়াতে এখনও জমি সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। পদ্মপুকুরে ওয়াটার প্ল্যান্ট হয়েছে ৪০ বছর আগে। সেখানে নোংরা জল মিশে যাচ্ছে। আপনি আপনাদের দায়িত্ব পালন করছেন না।' 

তিনি আরও দাবি করেন, মিউটেশন করা হয়েছে অনলাইন। কিন্তু সেই কাজ নিয়মিত অনলাইনে হচ্ছে না। যখন তখন ট্যাক্স বাড়াচ্ছে পুরসভা। মমতার প্রশ্ন, 'অনলাইনকে অবজ্ঞা করে কেন দেওয়া হচ্ছে? টাকার বিনিময়ে পুরসভার জমি বেদখল হচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি বেদখল হচ্ছে। চিফ সেক্রেটারিকে অর্ডার দিচ্ছি। আমি জানতে চাই না, কে দখল করেছে, কারা করেছে, কী করেছে জানার দরকার নেই। লোভ বেড়ে যাচ্ছে। সেটা কমান।' 

বাইরের লোকেরা এসে জমি দখল করে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'বাইরের লোকেরা এসে জমি জায়গা দখল করছে। বড় বড় মাল্টিস্টোর বিল্ডিং হচ্ছে সরকারি জমি দখল করে। অনলাইনে করে দেওয়া সত্ত্বেও সেগুলো ফলো করা হচ্ছে না। রাস্তা হলেও সংরক্ষণ হচ্ছে না। করছে না। সলিড ম্যানেজমেন্টের কোনও কাজ হচ্ছে না।' 

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'বাড়ি কেন তিন চারতলা তুলছে। দু একটা ভাঙুন। কেন অনিয়ম হবে বিল্ডিং নির্মাণের ক্ষেত্রে। জেলায় ডিএম, এসডিও, এসডিপিও, আইসি হলেই সঞ্চয় করে নিচ্ছে। টাকা জমাচ্ছে। এগুলো অনেক হয়েছে। আর করবেন না। এবার চোখে লাগছে। লজ্জা লাগছে।'

সল্টলেক নিয়েও বিস্ফোরক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'সল্টলেকের কাউন্সিলররা কেন রাস্তা দেখে না? মানুষের সমস্য়া দেখে না। শুধু উপরের দিকে তাকালে হবে না। মাটির দিকে তাকাতে হবে। পুলিশের চোখে পড়ে না। সব চোখে ঠুলি দিয়ে বসে আছে। হাওড়াতে কোনও পুরসভা নেই। চারজন এমএলএ সুবিধা নিচ্ছে। আমি আর নাম বলে লজ্জা দিলাম না।' 
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement