মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার অভিযোগ করেন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আর সে কারণে উন্নয়নে বাধা তৈরি হচ্ছে। এই অভিযোগ এর আগেও উড়িয়েছে বিজেপি। এবার তার স্বপক্ষে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরলেন বাংলায় বিজেপির অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ চিকিৎসক নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে রাজ্যে।
বুধবার তিনি এ ব্যাপারে দুটি টুইট করেছেন। অমিত মালব্য দাবি করেছেন, পিসি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ। আবারও তার প্রমাণ পাওয়া গেল। তিনি লিখেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় আয়ুশ মিশন থেকে ৯৪.৯ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। তবে মমতা সরকার সেই টাকা খরচ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে সরকার ৪৮.১৭ কোটি টাকা খরত করতে পেরেছে।" বাকি টাকা খরচ করতে পারলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হত বলে মতে তাঁর।
সিপিএম প্রভাবিত চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরস (এএইচডিএস) বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। এ নিয়ে তাঁরা স্বাস্থ্যের রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে পাঠিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মানস গুমটা চিঠিতে লিখেছেন, আরএমও নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভউয়ের সময় অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক-অধ্যাপকদের দায়িত্ব দিতে হবে। পেন্সিল দিয়ে কোনও নম্বর দেওয়া চলবে না। নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে পেন ব্যবহার করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে ওই চিঠিটিকে হাতিয়ার করেছেন অমিত মালব্য। তিনি টুইটে লিখেছেন, "নিয়োগের ক্ষেত্রে চিকিৎসক সংগঠন গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মেধার বদলে স্বজনপোষণ করা হচ্ছে। তৃণমূল দুর্নীতির ক্ষেত্রে চিকিৎসার মতন ক্ষেত্রকেও ছাড়ে না। এই দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন পিসি।"
তৃণমূলকে লাগাতার আক্রমণ করে যাচ্ছেন বাংলায় বিজেপির অন্যতম ভারপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য। দিন কয়েক আগে টুইটে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে'তৃণমূলের কলঙ্কিত মুখপাত্র' বলেছেন।
অমিত মালব্য টুইটে লিখেছিলেন, কুণাল ঘোষ, তৃণমূলের কলঙ্কিত তৃণমূলের মুখপাত্র। যাঁকে ভাইপোকে বাঁচানোর জন্য নামানো হয়েছে। ২০১৪ সালে কুণাল বলেছিলেন, যদি সারদা মিডিয়া থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবথেকে বেশি কেউ সুবিধা নিয়ে থাকেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও লিখেছেন, পিসি এই অভিযোগ সত্যি না মিথ্যা, তা স্পষ্ট করতে পারেন।