Advertisement

Manoranjan Bapari: তৃণমূলকে দু'দিন সময় দিলেন মনোরঞ্জন, ব্যবস্থা না নিলে এসপার-ওসপারের হুঁশিয়ারি

গত কয়েক দিন ধরে বলাগড়ে বিধায়ক ও যুব তৃণমূল নেত্রীর বিতণ্ডা ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যুব তৃণমূল নেত্রীর নাম না করে ফুলনদেবী বলে কটাক্ষ করেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টও করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রুনা খাতুন। রবিবার ফেসবুকে নাম না করে ফের রুনাকে আক্রমণ করেছেন মনোরঞ্জন।

Manoranjan Bapari
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 07 Jan 2024,
  • अपडेटेड 2:51 PM IST

রবিবার লাইভ এসে নিজের বক্তব্য জানাবেন বলেছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তবে লাইভে আসেননি। বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেছেন। নাম না করে দুর্নীতির অভিযোগে বিঁধেছেন তৃণমূলের নেত্রী রুনা খাতুনকে। দল ২ দিন সময়ও বেঁধে দিয়েছেন মনোরঞ্জন। তার মধ্যে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।  

গত কয়েক দিন ধরে বলাগড়ে বিধায়ক ও যুব তৃণমূল নেত্রীর বিতণ্ডা ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যুব তৃণমূল নেত্রীর নাম না করে ফুলনদেবী বলে কটাক্ষ করেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টও করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রুনা খাতুন। রবিবার ফেসবুকে নাম না করে ফের রুনাকে আক্রমণ করেছেন মনোরঞ্জন। তিনি লিখেছেন,'যাঁর বিরুদ্ধে আমার মুখ খোলার কথা ছিল সেই বালি মাফিয়া মাটি মাফিয়া জুয়ার বোর্ড চালানো , গাঁজার পাঁচারকারী, গরু ব্যাবসায়ী, আমার কাছে  ছবি তোলা আছে খামারগাছি ঘাটে গরু নিয়ে যাবার সময়ে ওই ফুলন দেবীর স্বামী- আমাদের মাননীয়া দিদি মমতা ব্যানার্জীর  ছবি লাগানো গাড়ি নিয়ে গিয়ে  তাদের হুমকি দিয়ে টাকা তুলছে, দল চাইলেই সে ছবি আমি পাঠিয়ে দেব ]  ও হরেক রকমের দুর্নীতিকারীদের সহায়ক- তাঁরা আমাকে হুমকি দিয়েছিল "কি করে বিধায়ক কার্যালয়ে বসে" ফেসবুক লাইফ করি" দেখে নেবে!'

তিনি আরও লিখেছেন,'সত্যিই দেখে তাঁরা নিয়েছে। রাত বারোটার সময়ে  বিধায়ক কার্যালয় ভেঙ্গে চুরে তছনছ করে দিয়েছে । সাথে এক পঞ্চায়েত সদস্যার ঘর বাড়ি সেও ভেঙ্গে দিয়েছে । বেধরক মারা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। তাঁর পাঁচ বছরের বাচ্চাকেও রেহাই দেওয়া হয়নি ।  ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে শক্ত     উঠোনের মাটিতে । ছুড়ে আর ছিড়ে ফেলা হয়েছে আমাদের দিদি মাননীয়া মমতা ব্যানার্জীর ছবি। ধুলোয় ফেলে পা দিয়ে মাড়ানো হয়েছে দলীয় পতাকা। এটা দলের মুখে একটা সজোর চপেটাঘাত।'

Advertisement

দলীয় নেতৃত্ব কেন রুনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বলাগড়ের বিধায়ক। তাঁর কথায়, 'একটা বড় আশ্চর্যের কথা -আমি ওই ফুলন দেবীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলাম- সে এক স্কুলে অবৈধভাবে কী করে চাকরি পেয়েছে ? কে তাঁকে কী পেয়ে চাকরি দিয়েছে ? সেটা তদন্ত করে দেখা হোক । কীভাবে বছরের পর বছর ডিউটি না করে মাইনে নিয়েছে খতিয়ে দেখা হোক । শুধু এটাই নয় আমি তাঁর নামে যে যে অভিযোগ তুলেছি সবকিছু তদন্ত করে দেখা হোক। আর হ্যা ওঁরা আমার নামে যা যা বলছে তারও তদন্ত হোক। সেটা নিয়ে কেউ কিন্ত কিছু বলছে না ! কেন ? আর কেন?'

নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত বলেও দাবি করেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি লিখেছেন,'আমি দলের এক অনুগত সৈনিক, দিদি মমতা ব্যানার্জীর অন্ধভক্ত। আবারও বলছি- "অন্ধভক্ত" । দিদির আদেশ আমার কাছে 'ভগবানের' আদেশ। বিধায়ক পদ তো অতি তুচ্ছ যদি দিদি বলেন তারচেয়ে যদি বড় কিছু থাকে তাও তাঁর আদেশে এক মুহুর্তে বিসর্জন দিতে দুবার ভাববো না।' সেই সঙ্গে ২ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন। তাঁর কথায়,'দলের দিকে তাকিয়ে দেখবো  আর একটা  দুটো দিন । সঠিক বিচার না পেলে তারপর দলমত নির্বিশেষে সমস্ত সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে  শুরু করবো বলাগড় বাঁচাও, দুস্কৃতি হঠাও জনজাগরন আন্দোলন। তৈরি থাকুন! সতেরোটা অঞ্চল জুড়ে পদযাত্রা করবো। থানার সামনে , বিডিও আফিসের সামনে বিক্ষোভ হবে, হবে প্রতিকি চাক্কা জ্যাম। গ্রেফতার বরণ। এটাই আমার সেই এসপার ওসপার লড়াই হবে'।  

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement