রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা এবার বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। বুধবার ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করবেন অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে দেখা করে বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য হস্তক্ষেপের আর্জি জানাবেন সরকারি কর্মীরা। সূত্রের খবর, এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠিও দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের তরফে।
সূত্রের খবর, সেই চিঠির উত্তর পেয়েছেন সরকারি কর্মীরা। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সময় দিতে পারবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সাক্ষাতের সম্ভাবনাও সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে এই চিঠি লেখা হয়েছে অমিত শাহর দফতরে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ এই নিয়ে বলেন, 'আমরা এর আগে দিল্লি গিয়ে ডিএ-র দাবি নিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে এসেছি। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কলকাতায় আসছেন। আমরা চাই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। সেই চেষ্টাও জারিও রয়েছে। তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আমরা আশাবাদী।'
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার সারাদিন ধরে রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষাকর্মী ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এক্স হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করা হচ্ছে। সরকারি কর্মীরা সেই চিঠিতে লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যাতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের AICPI অনুযায়ী ডিএ দেন সেই বিষয়ে আপনার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সরকারি কর্মীরা মাত্র ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেয়ে থাকেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হলেও প্রয়োজনীয় মহার্ঘ ভাতা এই সরকার এখনও বাড়ায়নি। এতে বিপাকে পড়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মী, শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী ও পেনশনাররা। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন সেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ভাগ্যে জুটছে মাত্র ৬ শতাংশ। রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক হয়েছে। তবে এখনও সরকারি কর্মীরা আশার আলো দেখতে পাননি।
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী ডিএ-র দাবিতে একাধিক সংগঠনকে নিয়ে শহিদ মিনার চত্বরে ৩০০- দিনেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তবে তাতে ফল মেলেনি। সেই একই হারে ডিএ পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।
অন্যদিকে পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া ভাতার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে এখন মামলা চলছে। কলকাতা হাইকোর্ট বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। তার শুনানিও একাধিকবার পিছিয়েছে।