কলকাতা পুলিশের ৯টি বিভাগের আধিকারিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনগুলির বাধ্যতামূলক যান্ত্রিক পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে যাতে তারা থানায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় পার্কিং না করে। লালবাজারে শহরের পুলিশ সদর দফতরের দ্বারা জারি করা এই নির্দেশের উদ্দেশ্য হল মশা-প্রজনন স্থানগুলি হ্রাস করা এবং ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা, অফিসাররা জানিয়েছেন। নির্দেশে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্ঘটনার পরে বাজেয়াপ্ত করা যানবাহনগুলি সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পরে তাদের মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
আধিকারিকদের তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন থানা এবং ব্যারাকগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতেও বলা হয়েছে। ডেঙ্গি-প্রতিরোধ অভিযানের অংশ হিসেবে অফিসারদের ফুলের টব, ট্যাঙ্ক, ছাদ এবং ড্রেনগুলিতে নজর রাখতে বলেছে। এই স্পটগুলিতে এবং কয়েকদিন ধরে পার্ক করা যানবাহনে জল জমে থাকে, যা মশা-প্রজননস্থলে পরিণত হয়।
কয়েক সপ্তাহ ধরে শহর এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে ডেঙ্গুর জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করা রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধির সাক্ষী হচ্ছে, একটি রোগ যা এডিস ইজিপ্টি মশা দ্বারা ছড়ায়। এ ধরনের মশা এক চামচ জলেও ডিম পাড়তে পারে। যদি জল জমে থাকে তবে ডিম পাড়ার এক সপ্তাহ পরে প্রাপ্তবয়স্ক মশা বের হয়, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। গাড়ির ছাদে বা বনেটের গর্তগুলিতে জল জমে থাকা রোধ করতে পুলিশ স্টেশনগুলিকে আগে জব্দ করা যানবাহনগুলিকে স্থানান্তর করতে বলা হয়েছিল।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র কলকাতা পুর এলাকায় মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ৮০০টি নতুন ডেঙ্গুর ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, কয়েকদিন আগে একটি অপরাধ সম্মেলনে, পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল সমস্ত অফিসারদের জল জমে থাকা রোধ করার জন্য থানাগুলিকে সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে বলেছিলেন।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ বার বৃষ্টি দেরিতে শুরু হলেও এখন যে ভাবে তা চলছে, তাতে ডেঙ্গির মশার প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর প্রতি সপ্তাহেই শহরের কোথায় কোথায় মশার আঁতুড়ঘর গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে। পুরসভার অভিযোগ, পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা গাড়িতে জল জমে থাকার কারণেই ডেঙ্গির মশা বাড়ছে।