মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকে নবান্ন অভিযানের আগে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়ছে। বিশেষ করে, চারজন ছাত্রনেতার নিখোঁজ হওয়ার খবরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে দাবি করেন, ওই চার ছাত্রনেতা রাতে হাওড়া স্টেশনে আসার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন এবং তাঁদের ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। শুভেন্দু আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, তাঁদের পুলিশ আটক করেছে অথবা গ্রেফতার করেছে। তিনি সতর্ক করেন, যদি তাঁদের কিছু হয়ে যায়, তবে তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ দায়ী থাকবে।
অন্যদিকে, শুভেন্দুর এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "এঁরা আদৌ নিখোঁজ কি না, তা কেউ জানেন না। সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এই ধরনের পোস্ট করা হচ্ছে। যারা অনুমতিহীন আন্দোলন এবং অশান্তি তৈরির চেষ্টাকে উস্কানি দিচ্ছেন, তাঁদের এই দায়িত্ব নিতে হবে।"
এদিকে, নবান্ন অভিযানের দিন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রায় ছ’হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এছাড়া, নবান্নের আশপাশের রাস্তাগুলিতেও ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।
পাশাপাশি, সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কুণাল ঘোষ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দুটি গোপন ভিডিয়ো প্রকাশ করেন। ভিডিওগুলির কথোপকথনে নবান্ন অভিযানের সময় অশান্তি সৃষ্টির পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নবান্ন অভিযানে অশান্তি তৈরির জন্য মহিলা এবং ছাত্রদের সামনে রেখে পিছন থেকে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে। এই বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে এবং কোনও ধরনের অশান্তি এড়াতে সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।