করম পুজোর জন্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছুটি থাকবে সব সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হল নবান্নের তরফে। করম পুজোর দিন ছুটি দেওয়া হবে, একথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক এই ছুটি ঘোষণা করা হল।
১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার। রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ করম পুজোর ছুটি পাওয়ায় পরপর দুই দিন ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এবছর করম পুজো পড়েছে ১৪ সেপ্টেম্বর। সেদিন ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সেদিন সব সরকারি অফিস, কর্পোরেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পঞ্চায়েত, পুরসভা, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ রাখা হবে।
গতবছর এই ছুটি ঘোষণা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন, সবেরবরাত ও করম পুজোর দিন ছুটি দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। সেই মোতাবেক এই ছুটি দেওয়া হবে। যদিও চলতে বছরের যে ছুটির ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে করম পুজোয় ছুটির উল্লেখ ছিল না। তবে অর্থদফতর জানিয়ে দিল এই ছুটি দেওয়া হবে।
করম পুজো হল আদিবাসী সমাজের একটি উৎসব। যাকে করম পরবও বলা হয়। ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ওড়িশাতে এই উৎসব পালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল বলে পরিচিত ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়াতে এই পুজো হয়। ভূমিজ, রাজপুত, সরাক, লোহার, বাউরি, বীরহড়, বীরনিয়া, খেরওয়ার, হো, খেড়িয়া, শবর, কোড়া, মাহালি, পাহাড়িয়া, হাড়ি, বাগদি, বেদে, ঘাসি, লোধা ও বৃহৎ জনগোষ্ঠী সাঁওতাল, মুন্ডা, ওঁরাও প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসব পালন করে থাকে।
ভালো ফসলের জন্য এই করম পুজো করা হয়। অবিবাহিত মেয়েরা উপোস করে। গ্রামের যুবকদের দল জঙ্গলে যায় এবং কাঠ, ফল এবং ফুল সংগ্রহ করে। করম ঈশ্বরের পুজোর সময় এগুলোর প্রয়োজন হয়। উৎসব উপলক্ষ্যে নাচ ও গানের উৎসবও হয়ে থাকে।