কলকাতায় বার ডান্সারের দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য ঘনাল। বুধবার তিলজলা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নেপালি ওই মহিলা পেশায় পানশালার নৃত্যকর্মী। দেহ উদ্ধারের পর থেকেই নিখোঁজ মহিলার লিভ-ইন সঙ্গী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মহিলার বোন বেঙ্গালুরুতে থাকেন। তাঁকে বিকেলে ফোন করেন মহিলার লিভ-ইন সঙ্গী। তাঁকে ফোন করে বলা হয় যে, তাঁর দিদি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার পর থেকেই লিভ-ইন সঙ্গীর ফোন বন্ধ বলে দাবি। নিহত মহিলার বোনই প্রতিবেশীদের খবর দেন। তারপরেই প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানান। স
লিভ-ইন সঙ্গীর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মৃতার ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অন্য দিকে, প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজের মাকেই খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক নাবালিকাকে। ঘটনাটি ১ মাস আগে ঘটেছে। সোমবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি জানানোয় মাকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ নাবালিকা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে। সূত্রের দাবি, দেড় বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে এক নাবালকের
সঙ্গে ওই নাবালিকার পরিচয় হয়। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেযননি। পুলিশ সূত্রের দাবি, সেই কারণেই মাকে খুনের পরিকল্পনা করে তারা। সম্প্রতি আনন্দপুর এলাকায় এক প্রোমোটারকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। খাস কলকাতায় একের পর এক খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।