আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপর নিউটাউন (New Town)-এর বাসিন্দাদের জন্য চালু হবে যাবে সর্বক্ষণের রেডিও চ্যানেল। এখনও রয়েছে। তবে তা সীমিত সময়ের জন্য। হিডকো ঠিক করেছে, সেটি ২৪ ঘণ্টার রেডিও স্টেশনে পরিণত করবে। ১ আগস্ট থেকে তা শুরু হতে চলেছে।
হিডকো (HIDCO) সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে এ ব্য়াপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 'রেডিও নিউটাউন' (Radio New Town)-কে ২৪ ঘণ্টার চ্যানেলে পরিণত করা হবে। তবে এই কাজ করতে গিয়ে অনেক ঝক্কি আছে। সারাক্ষণের একটি রেডিও চ্যানেল চালানো সহজ কাজ নয়। তা মেনে নিয়েছিলেন হিডকো (HIDCO) কর্তারা।
আরও পড়ুন: নিউটাউনকে COVID সচেতন করবে ড্রোন, উদ্যোগে HIDCO
তবে আর একটি জিনিসও ভাবাচ্ছিল তাঁদের। তা হল এখনকার অনুষ্ঠানের সময়সূচী। এখন বিকেল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রেডিওর অনুষ্ঠান শোনা যায়। তবে হিডকো (HIDCO)-র কর্তারা বুঝেছেন, রেডিও শ্রোতা নিজের ইচ্ছামতো সময়ে শুনবেন। আর তাই সর্বক্ষণের চ্যানেলের পরিকল্পনা।
তৈরি হয়েছে অ্য়াপ। গুগল প্লে স্টোর থেকে সেটি ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। স্থানীয় মানুষের সাংস্কৃতিক আনাদপ্রদান আরও নিবিড় করতেই এই উদ্যোগ। নিউটাউন (New Town)-এর বাসিন্দারা সেখানে শ্রুতিনাটক, গল্পপাঠ, নাচ, গান, টেলিফোনে আলোচনা, আবৃত্তির মতো অনুষ্ঠান করতে পারবেন। এর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনামূলক বিভিন্ন বার্তাও সহজে দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি নগরী নবদিগন্ত পাচ্ছে নিজের নামে মেট্রো স্টেশন
গত বছর, ২০২০ সালে লকডাউনের মাঝে নিউটাউন (New Town)-এর বাসিন্দদের জন্য অ্যাপস–রেডিও এনেছিল হিডকো। বিনোদনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, তথ্য আরও সহজে মানুষকে জানান দিতে এই উদ্যোগ। মাস্ক ব্যবহার নিয়ে সতর্কতা আরও বাড়াতে প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা আয়োজন করা হয়েছিল।
হিডকো সূত্রে খবর, 'রেডিও নিউটাউন' (Radio New Town) তৈরি হয়েছিল 'নেবারহুড নেটওয়ার্কিং' নামে কর্মসূচির মাধ্যমে। প্রথম দিকে স্মার্ট ফোনের ব্রাউজার থেকে এটি ব্যবহার করা যেত। পরে গুগল প্লে স্টোর অ্যাপ আনা হয়েছিল।
ওই অ্যাপ ডাউনলোড করে নিলেই হল। রেডিওর জন্য একটি লোগোও তৈরি করা হয়েছে। করোনা–সঙ্কট মোকাবিলায় নিউটাউন (New Town)-এর মানুষ বিশেষ করে প্রবীণ এবং আটকে পড়া শ্রমিকদের সহায়তার জন্য বিশেষ উদ্যোগী হয়েছিল হিডকো (HIDCO)।
তৈরি করা হয়েছিল ‘নেবারহুড নেটওয়ার্কিং’ নামে এক কর্মসূচি। যেখানে মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল সাহায্য করার জন্য। এই সাহায্য বিভিন্ন রকম ভাবে হতে পারে। তা সে খাদ্য সামগ্রী জোগাড় করা থেকে শুরু করে মাস্ক বানানো, প্রবীণদের ওষুধ পৌঁছে দেওয়া।
কাজের আরও সুবিধার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে কে কোন কাজে আগ্রহী, তার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যাতে পরিকল্পিত ভাবে কাজের বন্টন করা যায়। এই স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে থেকে মিলন চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি এই রেডিও তৈরির কাজে এগিয়ে এসেছিলেন।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ নিজেদের ঘরে আটকে রেখেছিলেন। নিউটাউন (New Town)-এর বাসিন্দাদের বিনোদন, সংস্কৃতি চর্চার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল হিডকো (HIDCO)। এর মধ্যে একটি ছিল অ্যাপ–রেডিও। আর বছর ঘুরে তা হল পুরো সময়ের রেডিও চ্যানেল।