কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইটে লিখেছেন, 'দেশকে নিরাপদে রাখার জন্য এনআইএ দারুণ কাজ করছে। তবে তাঁদের কাজ খুবই কঠিন। মমতার সরকার মেরুকরণ এবং তোষণের রাজনীতি করছে। এর ফলে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে এবং সারা দেশে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।'
তথ্য বলছে, আগে কয়েকবার মাদ্রাসা থেকে জঙ্গি সন্দেহে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। বারবার এমন অভিযোগ ওঠে কেন? এর বেশ কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর পেছনে বেশ কিছু আর্থিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক দিক রয়েছে। সেগুলি ভাল করে বিশ্লেষণ করা দরকার। দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে যে সব মাদ্রাসা রয়েছে, তার অনেকগুলির স্বীকৃতি নেই। আর থাকলেও অনুদানের পরিমাণ খুব কম। বা একেবারেই আসে না। ফলে ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যে সব শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী, তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তা বেশ কম।
অন্যদিকে, তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তা না থাকার কারণে সামাজিক নিরাপত্তাও কম। অনেক সময় এই নিরাপত্তার অভাবকে কাজে লাগানো হয়। তাঁদের মগজ ধোলাই করা হয়। কারণ প্রান্তিক মানুষকে আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রলোভন দেখানো, তাঁদের জন্য উপার্জনের রাস্তা খুলে দিলে, সহজে তাঁদের ভরসা পাওয়া যায়। এবার তাঁদের মগজ ধোলাই করার কাজটা সহজতর হয়ে যায়। সুযোগসন্ধানীরা এই বিষয়কে নিজেদের কাজে লাগান। দেখা গিয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন সাধারণত শাসক দলের ছাতার তলায় থাকতে চান। কারণ সেখানেই তাঁরা নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করেন। শাসক দলই তাঁদের নিরাপত্তা দিতে পারবে বলে মেনে চলেন তাঁরা। এছাড়া সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে অন্য কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকেত হবে না বলেও ধারণা রয়েছে। তবে অনেকে আবার এটাও বলেন, আর্থিকভাবে দুর্বল বলেই যে কেউ জঙ্গি হয়ে উঠবেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবেন, তেমনটাও ঠিক নয়। ঘটনা হলো মগজ ধোলাই। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, তাঁদের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করে, তাঁদেরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এবং খারাপ কাজ করার জন্য প্ররোচিত করা হয়। এটা আরও বড় অপরাধ। তারা মানুষের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করেন। এটা আরও বড় সন্ত্রাস।