আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে এসইউসিআই। ১৬ অগাস্ট সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে এসইউসিআই-এর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তরুণ মণ্ডল জানান, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদ ও ন্যায় বিচারের দাবি-সহ বুধবার গভীর রাতে ওই হাসপাতালে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তারই প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রাজ্যে কোনও বনধ হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বাংলায় কোনও বনধ হয় না। কারণ বাংলায় বনধ ডাক বন্ধ করা আছে। যে বনধে জয়েন করবে, সে নিজেরটা বুঝে নেবে। আমি সবাইকে আবেদন করব সব খোলা রাখতে। বাংলাকে অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সন্ত্রাস করার একটা চক্রান্ত চলছে বাম আর রামের।'
এরপরেই মমতা ভুয়ো খবর ও গুজব নিয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, 'সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সবটা ঠিক নয়। আজকাল এআই-র মাধ্যমে অনেক কিছু করা যায়। আমার গলাটা নকল করে, আমার মুখ বসিয়ে কিছু একটা করতে দিতে পারে, আমি জানতেই পারলাম না। তাই সব কিছু বিশ্বাস করবেন না। আমি যখন বলব সবাইকে বলব। আমি টুইটারে মেসেজ দিতে পারি, কিন্তু কাউকে বলতে যাব কেন। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইবার ক্রাইমের একটা বড় জায়গা।
মমতা বলার আগেই অবশ্য বনধ রুখতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য প্রশাসন। নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের কোনও প্রভাব পড়বে না। পরিবহন পরিষেবা অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকবে। যান চলাচল যাতে কোনও ভাবেই ব্যাহত না নয়, তার জন্য সমস্ত বেসরকারি পরিবহন অপারেটর এবং সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলা হবে। সবাইকে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে। সরকারি কর্মচারীরা অফিসে না এলে একদিনের বেতন কাটা যাবে।