রাজ্যের 'দুয়ারে সরকার' (Duare Sarkar) নামে প্রকল্প চালু করার দিনই সরকারি প্রকল্প থেকে সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগে রাস্তায় যুবরা। মঙ্গলবার এমনই ছবি দেখা গেল কলকাতার রাজপথে। এদিন 'যুবশ্রী' (Yubashree)-রা মিছিল করেলন। দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
এদিন মিছিলের ডাক দিয়েছিল অল বেঙ্গল ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (All Bengal Youth Welfare Association)। যুবশ্রী প্রকল্প নিয়ে তাঁরা একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, প্রশাসনকে জানালেও কোনও লাভ হয়নি।
ওই সংগঠন শিয়ালদহ বিগ বাজারের সামনে থেকে মিছিল করে। যা শেষ হয় সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারের কাছে। সেখানে তাঁরা প্রতিবাদ সভা করেন। তাঁদের এক প্রতিনিধিদল এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করেন।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত রাজ্য়কে আক্রমণ করে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী ২০১৩ সালে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনেক কথা বলেছিলেন। আজ সব ভাঁওতা প্রমাণিত হয়েছে। আজ যুবশ্রী প্রকল্পের যুবরা রাস্তায়। যুবশ্রী না হতশ্রী?"
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর করণের দাবি, এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক (Employment Bank)-এর অধিকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে জানানো হবে।
তাঁর অভিযোগ, আগে শ্রম দপ্তরের অধীনে কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রের মাধ্যমে পুলিশ, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য প্রত্যেকটি দপ্তরে নিয়োগ হত। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক অভিনব পদ্ধতির মাধ্যমে শ্রম দপ্তরের নথিভুক্ত থাকা কর্মপ্রার্থীর নাম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নথিভুক্ত করেছিল। এবং কর্মপ্রার্থীদের নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা করে। এবং যুবশ্রী নামের স্বীকৃতি দিয়েছিল। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সব কর্মপ্রার্থী মাসে পনেরশো টাকা করে পাবেন। এবং এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বয়সের নিরীক্ষা করে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু আজ আট বছর অতিক্রম করার পরেও কোনও নিয়োগ এই এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে হল না।
তাঁদের দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, স্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করতে হবে। ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের আমরণ ভাতা চালু রাখতে হবে। জেলা ভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্লক স্তরের স্বাস্থ্য, শিক্ষা,দপ্তরে ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত যুবশ্রীদের নিয়োগ করতে হবে।