একে একে বিক্ষোভের সুর তৃণমূলে। এবার বেসুরো পাঁচবারের বিধায়ক (Jatu Lahiri) জটু লাহিড়ি। প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) দলের ক্ষতি করছেন বলে দাবি করলেন হাওড়া শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক।
অন্যেরা বলতে শুরু করেছেন আগেই। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন জটু লাহিড়ি। শনিবার প্রশান্ত কিশোরকে ভাড়াটে বলে সরাসরি আক্রমণ করলেন তিনি। তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য়, দলের কর্মকাণ্ডে তিনি অপমানিত। পিকে আসার পরই দলের ক্ষতি শুরু হয়েছে বলে মনে করেন প্রবীণ এই তৃণমূল নেতা। আগামী দিনে প্রয়োজনে দল ছাড়ারও পরোক্ষে ইঙ্গিত দেন জটুবাবু। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দলে এসেছি। এই সময় মমতার উচিত নিজে হাতে দল পরিচালনা করা।
তবে শুধু এই বলেই থেমে থাকেননি তিনি। শুভেন্দুর মন্ত্রীপদ থেকেও ইস্তফা নিয়ে মুখ খোলেন এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা। জটুবাবু বলেন,দলের মধ্য়ে কতটা সমস্যা রয়েছে তা শুভেন্দুর ঘটনাই প্রমাণ করে। একজন মন্ত্রিত্ব পদের মোহ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারলেন।
মেয়র পদের দাবিদার থাকলেও ২০১৩ সালে দলের কিছু নেতার জন্য তা সম্ভব হয়নি।সেই আক্ষেপ আজ স্পষ্ট তার গলায়।দু বছর ধরে ভোট হয়নি হাওড়া পুর নিগমে মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না।উচিত ছিল ভোট করানো।নির্বাচনের কয়েকমাস আগে হাওড়া সদরে সাংগঠনিক রদবদল ঠিক হয়নি বলে মনে করেন জটু লাহিড়ি।
কয়েক মাস আগে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অরূপ রায়কে। নতুন সভাপতি করা হয় লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে।জটুবাবু জানান,পিকে-র লোকজন তার কাছে বিভিন্ন কর্মসূচি করার জন্য নির্দেশ দেয় যখন-তখন।এটা তিনি মানতে বাধ্য নন।পিকে-র লোকেরা প্রচুর মাইনে পায়। এত টাকা কোথা থেকে আসছে-প্রশ্ন তোলেন পাঁচ বারের বিধায়ক।