Advertisement

একবালপুরে তরুণী খুন, গ্রেপ্তার প্রেমিক, অপরাধে সাহায্য স্ত্রীর

একবালপুর খুনের কিনারা করল পুলিশ। নিহত সাবা খাতুন ওরফে নয়নাকে খুনের অভিযোগে ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্য়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রেমিক শেখ সাজিদ ওরফে রোহিত এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে। রবিবার তাদের আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, দেখছে পুলিশ।

কলকাতার একবালপুরে তরুণী খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক দম্পতিকে (প্রতীকি ছবি)
তপন কুমার নস্কর
  • কলকাতা,
  • 22 Nov 2020,
  • अपडेटेड 4:36 PM IST
  • একবালপুর খুনের কিনারা করল পুলিশ
  • গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিহত সাবা খাতুন ওরফে নয়নার প্রেমিক শেখ সাজিদ ওরফে রোহিত এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে
  • রবিবার তাদের আদালতে তোলা হয়

একবালপুর খুনের কিনারা করল পুলিশ। নিহত সাবা খাতুন ওরফে নয়নাকে খুনের অভিযোগে ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্য়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রেমিক শেখ সাজিদ ওরফে রোহিত এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে। রবিবার তাদের আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, দেখছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত সাবা খাতুনের (২২) ফোন থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যা তদন্তে সাহায্য করেছে। ওই ফোনে সাজিদের নাম সেভ করা ছিল। সাজিদের সঙ্গে তার বেশ কিছুদিন ধরে যোগাযোগ ছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিযোগ, এই সম্পর্ক নিয়ে সাজিদকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করেছিল সাবা। আর সাবার সঙ্গে স্বামীর যোগাযোগের কথা জেনে ফেলেছিল তার স্ত্রী অঞ্জুম বেগম। এরপরই তারা ঠিক করে সাবাকে সরিয়ে ফেলতে হবে। না হলে সমস্যা তৈরি হবে। সাবা সবাইকে জানিয়ে দিলে বিপাকে পড়বে শেখ সাজিদ। দম্পতি ছক কষতে শুরু করে। পুলিশ তদন্তে নেমে এইসব তথ্য পেয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের কাছে এই তথ্য পেয়েছে।। পরে তাদের গ্রেপ্তার করতে হয়। 

সাবার পরিবার দাবি করেছে, তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিল না ওঁরা দুজন দুজনকে চিনত খালি। এদিকে, শেখ সাজিদ ও তার স্ত্রীকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছেন কিনা সে ব্যাপারে খোঁজখবর করা হচ্ছে কিভাবে খুন করা হলো তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত শেখ সাজিদ ওরফে রোহিত জানিয়েছে যে, সাবা খাতুন ওরফে নয়নার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তার। সেই সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে ব্ল্যাক মেল করছিল মৃত নায়ানা। তাই সম্পূর্ণ ঠান্ডা মাথায় তাঁকে বাড়িতে ডাকে সাজিদ । যেখানে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। এই কাজে তাকে সাহায্য করে তার স্ত্রী আনজুম বেগম।

Advertisement

বুধবার রাতে একবালপুর থানায় এলাকার এম এ আলি রোড থেকে একটি সাদা চটের বস্তা থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণীর দেহ। পরে জানা যায় তাঁর নাম সাবা খাতুন ওরফে নয়না। ঘটনা তদন্ত করে শুরু করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে ওইদিন তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। তখন তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement