আলুর দাম কমাতে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতি কেজি ৩০ টাকার কমে রাজ্যবাসীকে আলু খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। কীভাবে? বুধবার হুগলির হরিপালে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে আলুর জোগান স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা রাজ্যের। বলে রাখি,আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের জেরে জোগানে সংকট দেখা গিয়েছিল। আপাতত আলু ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ নিরসনে সমর্থ হল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের সীমান্তগুলিতে পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে গত সোমবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। ফলে হিমঘর থেকে আলুর বের হচ্ছিল না। বাজারে কমছিল আলুর জোগান। জোগানের সঙ্গে দামের সরাসরি সম্পর্ক থাকায় আলুর দর চড়ছিল। চন্দ্রমুখী আলু বিকোচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা প্রতি কেজিতে। জ্যোতি আলুর দর দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজিতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এমতাবস্থায় সরকারের সঙ্গে আলু ব্যবসায়ীদের বৈঠক সদর্থক হয়েছে বলে দাবি করেছেন বেচারাম মান্না।
বেচারাম এ দিন বলেন,'বিভিন্ন বাজারে হিমঘর থেকে ২৬ টাকা দরে আলু পাঠানো হবে। জোগান সংকট মোকাবিলায় ৪৯৩টি সুফল বাংলা কাউন্টার খোলা আছে। আলু ব্যবসায়ীরা কথা রাখলে ৩০ টাকার নীচে আলু খাওয়াতে পারব রাজ্যবাসীকে। দিল্লি-সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যে আলুর দাম অনেক বেশি। সেই তুলনায় বাংলায় আলুর দাম অনেক কম। আলুর জোগান স্বাভাবিক হলে ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠানোর বিষয়টি ভেবে দেখা যাবে'।
এ দিনের বৈঠক থেকে যে নির্যাস বেরিয়েছে তা হল, বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন হিমঘর থেকে আলু বার করা হবে। বাজারে জোগান স্বাভাবিক হবে। বৃহত্তর স্বার্থে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হল বলে জানান আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন,' আমরা সরকারের পাশে আছি। তবে আলু রফতানির ব্যাপারে সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। মন্ত্রী আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। লিখিতভাবে নিজেদের দাবিদাওয়া সরকারের কাছে জানিয়েছি'। ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ডস্টোর অ্যাসোসিয়েশনের পতিতপাবন দে বলেন,'রাজ্যে ১১০ লক্ষ টন আলু উৎপাদন হয়। এত আলু আমাদের রাজ্যে লাগে না। তাই। তাই ভিন্রাজ্যে পাঠাতে হয়। আলু রাজ্যের অন্যতম অর্থকরী ফসল। অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক। আলুর দাম বেশি থাকলে চাষিরাও লাভ করেন।