আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই ঘটনায় সিবিআই-এর কার্যপ্রণালী নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার, অভয়ার পরিবার এবং বিরোধী দল বিজেপি। সমালোচনার ঝড়ের মাঝেই রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন।
তৃণমূল সাংসদ বলেন, আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সিবিআই সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল। তিনি অভিযোগ করেন, “সিবিআই-এর পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টেও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল, কিন্তু ৯০ দিনের মধ্যে কোনও প্রমাণ পেশ করতে না পারায় অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যান। এটা আইন অনুযায়ী স্বাভাবিক।”
তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, “ক্রিমিনাল কেসে সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার বেআইনি। আন্দোলনের নামে সিবিআই-কে চাপ দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে। যারা আন্দোলন করছেন, তাদের কাছে অনুরোধ, প্রমাণ থাকলে তা সিবিআই-এর হাতে তুলে দিন।”
এর আগের দিন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, অভয়ার বাবা-মাই সিবিআই তদন্তের জন্য দায়ী। তার পরদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই-এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে আন্দোলনকারীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
উল্লেখ্য, সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায়, সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন পাওয়া আইন অনুযায়ী নিশ্চিত ছিল। তবে আন্দোলনের চাপে সিবিআই এই গ্রেফতার করেছিল বলে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
সংবাদদাতা-ভোলানাথ সাহা