উঠেছে 'থ্রেট কালচারের' অভিযোগ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সাসপেন্ড হওয়া সেই ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তার এবার দ্বারস্থ হলেন কলকাতা হাইকোর্টের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁরা বিচারপতি পার্থসারথি সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। মামলার শুনানির সম্ভাবনা আগামী ১৮ অক্টোবর।
আরজি করে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরই সামনে আসে 'থ্রেট কালচার'। দিনের পর দিন রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার চলছে বলে অভিযোগ করেছে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। আরজি করে প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ একাধিক জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও ওঠে সেই অভিযোগ। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি।
মামলাকারী ৫১ জনের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা ছাড়াও রয়েছেন হাউস স্টাফরা। তাঁরা প্রত্যেকেই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। চিকিৎসকদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিবিধ অভিযোগ জমা পড়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। আরজি করের স্পেশ্যাল কাউন্সিল বৈঠকে বিষয়টি তোলেন রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠিও দেন তাঁরা। সেই চিঠির ভিত্তিতেই ৫১ জনকে তলব করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালের কলেজ কাউন্সিল ৫১ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করে। এই ৫১ জনের বিরুদ্ধে হাসপাতালে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ উঠেছে। সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তাঁরা জোরজুলুম চালাতেন বলেও অভিযোগ।
বলে রাখি, কয়েকদিন আগেই সাসপেন্ডেড ডাক্তারদের একটা অংশ দেখা করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে। ১৫ থেকে ২০ জন জুনিয়র ডাক্তার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পুজোর পরই তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।