আর এক অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার ভর্তি হলেন হাসপাতালে। সোমবার সকাল থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তনয়া পাঁজা। তবে তিনি আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সোমবার রাতে অনশন মঞ্চ থেকে শৌচালয়ে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান তনয়া। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার। তারপরই তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট তনয়া পাঁজা। জানা গিয়েছে, সকাল থেকে ঘন ঘন মাথা ঘুরছিল তাঁর। উঠে বসার চেষ্টা করলেই মাথা ঘুরছিল। শুয়ে থাকলেও হচ্ছিল। টানা অনশন করায় দুর্বল হয়ে পড়েছেন তনয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, তনয়ার রক্তচাপ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮/৭০। নাড়ির গতি ৭৮ এবং ক্যাপিলারি ব্লাড গ্লুকোজ় (সিবিজি) ৬৩। মূত্রে কিটোন বডি বেড়েছে (৩+)।
প্রণিধানযোগ্য, সিবিজি৬০-এর নীচে নেমে গেলে উদ্বেগের। এতে কিডনিও বিকল হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে আমরণ অনশন করতে গিয়ে একাধিক চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁরা এখন চিকিৎসাধীন।অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের পর রবিবার রাতে ধর্মতলার মঞ্চে অসুস্থ হন পুলস্ত্য আচার্য। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল। পেটে ব্যথা করছিল। অনশনমঞ্চেই পুলস্ত্যর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। তাঁদের পরামর্শেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলস্ত্য নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, দশ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের বক্তব্য, সরকার দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে। এদিকে, সোমবার স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে বসেন সিনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু সমাধানসূত্র মেলেনি। এক সিনিয়র ডাক্তার জানান, সরকারের তরফে ৩টি দাবি কবে মানা হবে সেই সংক্রান্ত কোনও সময়সীমা দেওয়া হয়নি। সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত।