আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করলেও সে একটা বাইক ব্যবহার করত। সেই বাইকটি আবার কলকাতা পুলিশের নামে রেজিস্ট্রার করা। কীভাবে সঞ্জয় সাধারণ সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে কলকাতা পুলিশের নামে রেজিস্ট্রার করা বাইক পেত, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
যে বাইকটি সঞ্জয় ব্যবহার করত সেটা কমিশনার অফ পুলিশ-এর নামে রেজিস্ট্রার করা রয়েছে। গত মে মাসে এই বাইকটির রেজিস্ট্রার করা হয় বেলতলা রোড আরটিও থেকে। ২ দিন আগে বাইকটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসে। তাদের তরফে বাইটি বাজেয়াপ্তও করা হয়। সূত্রের দাবি, সঞ্জয় নিজেকে কলকাতা পুলিশের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে মনে করত। হয়তো তার মাথায় কোনও প্রভাবশালির হাতও ছিল। কেন সঞ্জয় সেই বাইক ব্যবহার করত, কীভাবে সে বাইক ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিল এসব খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
সঞ্জয় রায়কে এই ধরনের সুবিধে কেন দেওয়া হয়েছিল তা খতিয়ে দেখকে ইন্ডিয়া টুডে-র তরফে কলকাতা পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের কাছে যাওয়া হয়। সঞ্জয়কে এমন সুযোগ সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে জড়িত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না-তা জিজ্ঞাসা করা হয়। তাতে কলকাতা পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে কজন জানান, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজের সুবিধের জন্য ১ টা এসি দেওয়া হয়েছে।
তরুণী চিকিৎসককে খুন করে ধর্ষণের ঘটনায় এই বাইককেও লঘুভাবে দেখছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার কারণ, ঘটনার দিন রাতে এই বাইকে চড়ে অভিযুক্ত সঞ্জয় কলকরাতার দুই রেড লাইট এলাকাতে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের পরও চোখে-মুখে কোনও ভয় ছিল না অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের। এমনটা জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পুলিশ তাকে খুঁজছে একথা জানার পরও সঞ্জয় তার সিভিক ভলান্টিয়ার সঙ্গী সৌরভকে বলেছিল, 'আমি সামলে নেব।'
সূত্রের দাবি, সঞ্জয় আগেই জানতে পেরেছিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারে। তবে তা নিয়ে সে চিন্তিত ছিল না। ভয়ও পায়নি। এমনকী ধর্ষণ করে খুনের জেরে সে অনুতপ্তও ছিল না। ৯ তারিখে সেই তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। ১০ তারিখ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের দাবি, জেরার প্রথম দিকে সঞ্জয় দাবি করে ধর্ষণ ও খুন করার সময় সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল। ১০ অগাস্ট সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখানে মোট ১৫ জনকে ওই সেমিনার হলে আসা যাওয়া করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে ছিল সঞ্জয় রায়ও।