আরজি করে হামলার ঘটনায় ছবি পোস্ট করে ভাঙচুরকারীদের সন্ধান চেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় ২৪ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। আগে ১৯ জনকে ধরেছিল পুলিশ। আরও ৫ জন ধরা পড়েছে। হামলার পরই দুষ্কৃতীদের ছবি প্রকাশ করে সন্ধান চেয়েছিল পুলিশ। আলাদা করে তাদের শনাক্ত করা হয়েছিল ছবিতে।
আরজি হামলায় আরও এক দফা দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে সন্ধান-পোস্ট করল কলকাতা পুলিশ। এই ছবিতে কয়েক জনের মুখ চিহ্নিত করে লেখা হয়েছে,'সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে'। (বানান ও বাক্যগঠন অসম্পাদিত)
শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের কড়া পর্যবেক্ষণ,'সব রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হোক। এই হাসপাতাল বন্ধ করুন। সবাই নিরাপদ থাকবে। হাসপাতাল বন্ধ করে দিন...সেটাই ভালো হবে'। সেই সঙ্গে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি ছিল হাসপাতালের সামনে। সেই কর্মসূচির মাঝেই ঢুকে পড়ে দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে ভিতরে ঢুকে তছনছ করে তারা। হামলা চালানো হয় পুলিশের উপর। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালের ভিতরেও। ভেঙে দেওয়া হয় ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চও।