১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি করে ভাঙচুর এবং যন্ত্রপাতি নষ্ট করার চেষ্টা সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এটা রাজ্যের ব্যর্থতা। পুলিশ নিজেকে রক্ষা করতে পারছে না। জনতাকে ঠেকাতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা কীভাবে রক্ষা করবে? ভবিষ্যতে এমন কোনও ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কী পদক্ষেপ করবে? সেটাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আদালত সরকারকে হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ,'পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারেরও উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত'। রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন,'আমরাও দুঃখিত'।
সরকারি কৌঁসুলি এ দিন জানান,'ওই দিন পুলিশ মোতায়েন ছিল। একসঙ্গে ৭ হাজার লোক জড়ো হয়ে গিয়েছিল। এরপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। আহত হয় পুলিশ। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে'। এটা রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে মনে করছে আদালত। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, 'সাধারণত বেশি ভিড় যেখানে থাকে সেখানে বেশি সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ৭ হাজার লোক ঢুকেছে বললে রাজ্যের ব্যর্থতাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এটা রাজ্য প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ডাক্তাররা কীভাবে নির্ভয়ে কাজ করবেন?' রাজ্য সরকার সাফাই দেয়,'আমরা বলিনি ৭ হাজার লোক ছিল'।
রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি দাবি করেছেন, যে স্থানে অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল সেটা নিরাপদ। ভাঙচুরের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা ঘটেনি। এরপরই আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণ,'সব রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হোক। এই হাসপাতাল বন্ধ করুন। সবাই নিরাপদ থাকবে। হাসপাতাল বন্ধ করে দিন...সেটাই ভালো হবে'।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ,'রাজ্যের সাধারণ মানুষ কী যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা বোঝা উচিত। এমন কিছু হওয়া উচিত যা জনগণ এবং আদালতের প্রতি আস্থা জাগায়'।
গত ১৪ অগাস্ট রাতে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢুকে পড়ে। এই সময় হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে তাণ্ডব।