'রাত দখল'-এর আন্দোলনের সময়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুর, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। ভেঙে দেওয়া হয় এমার্জেন্সি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে একাধিক ওয়ার্ড। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে অবাধ ভাঙচুর। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন তিনি।
এই তাণ্ডবের ঘটনায় রাতেই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার নিন্দা করে অভিষেক জানিয়েছেন, প্রত্যেক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে যেন শাস্তি দেওয়া হয়। এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লিখেছেন, আরজি করে যে গুণ্ডামি আর ভাঙচুর হল, তা সব সীমা পার করে গিয়েছে। আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে বলেছি, যাতে প্রত্যেক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রাজনীতির রঙ না দেখে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকদের কথা উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, চিকিৎসকদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। এটুকু তো তাঁরা সরকারের কাছ থেকে আশা করতেই পারেন। তাঁদের সুরক্ষা যেন নিশ্চিত করা হয়।
প্রসঙ্গ, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মিছিল, জমায়েত আন্দোলন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে। স্লোগান তোলা হয়েছিল, মেয়েরা রাত দখল করো। শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশে, এমনকী দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছিল শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের রেশ। শঙ্খধ্বনি, মোমবাতি মিছিল, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, হোর্ডিং - সব মিলিয়ে রাতের দখল সত্যিই নিয়েছিল আমজনতা। তবে শান্তিপূর্ণ সেই আন্দোলনের মধ্যেই অশান্ত হয়ে উঠল আর জি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল।
, 'রাত দখল' আন্দোলন চলাকালীন আরজি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে একদল দুষ্কৃতী এসে ভাঙচুর করে। ভিতরে ঢুকে তারা ভাঙচুর করে। আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যম। এদের আটকাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে এদের খণ্ডযুদ্ধ চলে। দুষ্কৃতীরা পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে। উল্টে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি। দুষ্কৃতীরা হাতে লাঠি নিয়ে হাসপাতালে ঢোকে। আক্রান্ত হন পুলিশ কর্মীরাও। ৩০-৩৫ জন দুষ্কৃতী মিসে তাণ্ডব চালাল হাসপাতালে। ভাঙা হল চেয়ার, আন্দোলনকারীদের মঞ্চ, জরুরি বিভাগের সরঞ্জাম। প্রায় মিনিট ২০ ধরে চলে তাণ্ডব। হামলাকারীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয় পুলিশকে।