আরজি কর-কাণ্ডে নিহত চিকিৎসক ছাত্রীর পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে সোমবার সোদপুরে ছাত্রীটির বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সেখানে পৌঁছে ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলার পর, ১টা ১৫ মিনিটে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “এটা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা এবং বেদনাদায়ক। অপরাধীদের ইমিডিয়েট শাস্তি দিতে হবে। মামলাটি ফাস্টট্র্যাক আদালতে বিচার হবে, যাতে ন্যায়বিচার দ্রুত হয়। আমরা ফাঁসির দাবি জানাব।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, কিছু মানুষ সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়েছে। তিনি বলেন, “মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া অপরাধ। সবাই ছিল কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা আমি এখনও বুঝতে পারছি না। বাবা-মা বলেছে যে, ওদের ভেতরেই কেউ আছে। যদি ভেতরের কেউ থাকে, কারও প্রতি সন্দেহ থাকে, তাহলে সেই বন্ধুবান্ধব এবং যিনি প্রথম ফোন করেছিলেন, তাঁকেও ডেকে কথা বলতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান যে, ঘটনার তদন্তে দ্রুত অগ্রগতি না হলে রবিবারের মধ্যে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া না যায়, তাহলে এই মামলাটি সিবিআইকে দেওয়া হবে। তবে তিনি সিবিআইয়ের সফলতার হার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, উল্লেখ করে বলেন, “তাপসি মালিকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার আজও বিচার হয়নি। নন্দীগ্রামের নিখোঁজের খোঁজও মেলেনি, এমনকি রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাইজেরও খোঁজ মেলেনি।”
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, মানুষের সন্তুষ্টির জন্য সিবিআই তদন্ত হতে পারে, যদিও কলকাতা পুলিশকে তিনি বিশ্বের সেরা পুলিশ বাহিনী বলে উল্লেখ করেন। এদিকে, কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, “যারা এই ঘটনায় জড়িত বা সংযুক্ত, তাদের ডাকা হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত যে, আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে আরও কেউ যুক্ত থাকলে তাকে গ্রেফতার করতে পারব।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার জানান যে, পরিবার চাইলে সিবিআই তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, “আমাদের কোনও আপত্তি নেই যে সিবিআই তদন্ত হোক বা অন্য যে কোনও তদন্ত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।”