আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দেহরক্ষী আলি খানকে। আলি খানের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওয় আলিকে তৎকালীন আরজি কর অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে। এই ভিডিওতে আলিকে বলতে শোনা দেখা যাচ্ছে,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই আলি খানকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। পরে তিনি সন্দীপ ঘোষের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন তাঁকে গ্রেফতার করল? দুর্নীতিতে তাঁর ভূমিকা কী ছিল?
সিবিআই সূত্রের দাবি, হাসপাতাল চত্বরে একটি ক্যাফে চালানোর বরাত নিজের ঘনিষ্ঠ আলি খানকে পাইয়ে দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর হাসপাতাল এবং মেসার্স এহসান ক্যাফের মধ্যে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আলি খানের স্ত্রী নার্গিস খাতুন এই সংস্থার মালিক। তবে স্ত্রীকে সামনে রেখে এই সংস্থা চালাতেন আলি খান। সিবিআই বলছে, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে আলি খানকে এই চুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
সূত্রের খবর,নিরাপত্তারক্ষীর স্ত্রী নার্গিসের সংস্থা যে টাকা দিয়ে বরাত পেয়েছিল সেটাও ফেরতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতালে ক্যাফে চালানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা রাখতে হয় সংস্থাকে। যা ফেরত দেওয়া হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রেও সরকারি বিধি ভেঙেছিলেন সন্দীপ।
এছাড়া আরও দুই সহযোগীকেও সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। আরজি কর আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই জানতে পেরেছে, আলি খান ছাড়াও সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বিপ্লব সিনহা এবং সুমন হাজরাও জড়িত। হাসপাতালের নিয়ম ভেঙে চুক্তি করা হয়েছিল। একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। প্রকাশ্যে এসেছে সন্দীপ ঘোষের বাংলো। তল্লাশিতে নানা গুরুত্বপূর্ণ নথিও হাতে পেয়েছে সিবিআই।