রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জিজ্ঞাসাবাদ। বিকেলে সিজিও কমপ্লেক্স ছাড়েন টলিউড অভিনেত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি বলেন,'এটা ডিপার্টমেন্টের ব্যাপার, বাইরে কোনও কথা বলতে পারব না'।
বুধবার অভিনেত্রীর আসার আগেই তাঁর হিসাবরক্ষক নথিপত্র নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিজিওতে। তারপর হাজির হন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান,'আগে যাই'।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন,'অভিনেত্রীকে তাঁর ব্যাঙ্ক লেনদেন সংক্রান্ত নথি দেখাতে বলা হয়েছে। তাঁকে কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে। অভিনেত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েকটি লেনদেন করা হয়েছে। আমরা ওই লেনদেনগুলির উৎস সম্পর্কে জানতে চাই'।
এর আগে গত ৫ জুন রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে হাজিরার জন্য তলব করেছিল ইডি। ওই দিন ঋতুপর্ণা সিজিওতে হাজিরা দেননি। দেশে থাকার কারণে ইডি দফতরে যেতে পারেননি। তা ইডি আধিকারিকদের ইমেল করে জানিয়েছিলেন। ফের তাঁকে তলব করে ইডি। সেই মতো বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন অভিনেত্রী।
এর আগে রোজভ্যালি মামলায় ঋতুপর্ণাকে তলব করেছিল ইডি। ২০১৯ সালে এই মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। তবে তারপরে তাঁকে আর এই মামলায় তলব করা হয়নি। বলে রাখি, গত ৭ জুন, শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে টলিউডের সেরা রোম্যান্টিক জুটি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৫০ তম সিনেমা 'অযোগ্য'।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গত বছর ইডির হাতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান-সহ তৃণমূলের কয়েক জন নেতা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ। এই মামলার তদন্তে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূলের শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির তদন্তকারীরা।