Advertisement

Salt Lake Central Park : বনবিতান বেসরকারি হাতে যাচ্ছে? অভিযোগ নাকচ জ্য়োতিপ্রিয়র

সব আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (WB Forest Minister Jyotipriya Mallick)। তিনি বলেন, বনবিতান (Banabitan) সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

বনবিতান (বাঁদিকে), জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছবি সৌজন্য: ফেসবুক
অভিজিৎ বসাক
  • কলকাতা,
  • 13 Aug 2021,
  • अपडेटेड 11:12 PM IST
  • বিধাননগরের বনবিতান (সেন্ট্রাল পার্ক)-কে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে
  • এর ফলে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের অসুবিধা হবে
  • এমনই অভিযোগ উঠেছে, যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য

বিধাননগর (Salt Lake Central Park)-এর বনবিতান (Banabitan)-কে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের অসুবিধা হবে। এমনই অভিযোগ উঠেছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য।

তাদের দাবি, বনবিতান (Banabitan) রাজ্যের কাছেই থাকবে। আয় বাড়াতে সৌন্দর্যায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। তার ফলে কর্মসংস্থান হবে। দাবি করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (WB Forest Minister Jyotipriya Mallick)।

কী পরিকল্পনা করা হয়েছে?
বনবিতান (Banabitan)-কে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ইকো টুরিজম কেন্দ্র করে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। থাকবে সেলফি জোন, পদ্মবন, নতুন বন, কফি শপ, ওয়াটার ফ্রন্ট, ফটো শুটিং পয়েন্ট, মাছ ধরার ব্যবস্থা।

বনবিতানের মালিকানা
বন দফতর সূত্রে খবর, এই জমি (Banabitan) রাজ্য বন দফতরের নয়। এটা বিধাননগর পুরসভার। বিধাননগর মানুষের কথা ভেবেই এই জমিতে অরণ্য সৃষ্টি করা হয়। বনবিতানের শর্ত মেনেই এখানে কোনও গাছ কাটা হয় না। বলা যেতে পারে, বিধাননগরের ফুসফুস বনবিতান (Banabitan)। ১৯৮৪ সালে বামফ্রন্ট সরকার এই জায়গাটা নগর বিনোদন বনায়নকে তুলে দেয় অরণ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে।

অভিযোগ কোথায়
নগর বিনোদন বনায়নের কাজ হল শহরের বুকে সবুজকে রক্ষা করা। বনবিতান রয়েছে নগর বিনোদন বনায়নের। সেটা চলে যেতে চলেছে বন উন্নয়ন নিগমে। বন উন্নয়ন নিগমে যাওয়ার অর্থ জায়গাটাকে বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার। এখানে ব্যাঙ্কয়েট, বিয়ের বাড়ির পরিকাঠামো তৈরি। সুইমিং পুলও তৈরি।

এই রকম বহুবিধ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। ফুডপার্ক তৈরি করবার দরপত্র ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। প্রতিদিন সকালে বহু বিধাননগরবাসী প্রাতর্ভ্রমণে আসে। তাঁদের কাছেও গুরুতর সমস্যা দেখা দেবে।

জ্যোতিপ্রিয়র বক্তব্য
সব আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (WB Forest Minister Jyotipriya Mallick)। তিনি বলেন, বনবিতান (Banabitan) সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সন্ধের পর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে অসামাজিক কাজ বন্ধ করতে। সেখানে কোনও অসামাজিক কাজ হবে না। মানুষ চেয়ারে বসে বই পড়বেন।

Advertisement

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (WB Forest Minister Jyotipriya Mallick) আরও জানান, দুটো রেস্তোরাঁ হবে। একটায় বসে খাবার খাওয়া যাবে। আর একটা থেকে নিয়ে যাওয়া যাবে। সরকার সাজানোর কাজ করবে। সরকার আয় করবে। পরিবেশকর্মীরা নিশ্চিন্তে থাকুন। কোনও বেসরকারিকরণ হবে না। আর এর ফলে তো কাজের সুযোগ হবে। বেসরকারিকরণ হলে লাভ কী হবে? রাজ্যের হাতে থাকলে সরকারের আয় হবে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement