Advertisement

Sandeshkhali Detailed Timeline: শুরুতে অস্বীকার, পরে চাপে পড়েই কি সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের ধারা যোগ?

সন্দেশখালিতে মহিলাদের রাতবিরেতে ডেকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় কি তৃণমূলের 'ফেস লস' হল? শাহজাহান সংখ্যালঘু মুখ বলেই কি ব্যবস্থা নেওয়া হল না?

সন্দেশখালিতে কী ঘটেছে?
শুভঙ্কর মিত্র
  • কলকাতা ,
  • 19 Feb 2024,
  • अपडेटेड 5:28 PM IST
  • শাহজাহান সূত্রেই উঠে আসে শিবু ও উত্তমের নাম।
  • নির্যাতনের অভিযোগ সরব হন মহিলারা।

শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। ঘরে-বাইরে চাপে পড়েই কি নড়েচড়ে বসল সরকার? এই গোটা ঘটনায় কি মুখ পুড়ল তৃণমূলের? কারণ শুরু থেকেই পুলিশ জানিয়ে আসছিল, তাদের কাছে ধর্ষণের কোনও অভিযোগ আসেনি। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ব্যাখ্যা দিয়েছেন,'৮ ফেব্রুয়ারির আগে আমাদের কাছে সন্দেশখালি থেকে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তার পর থেকে যা যা অভিযোগ এসেছে, তা খতিয়ে দেখে তদন্ত করছে পুলিশ। সন্দেশখালির মহিলারা নির্ভয়ে পুলিশে কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন।'

৫ জানুয়ারি- রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ওই দিন ইডি আধিকারিকদের ঘিরে মারধর করেছিল শাহজাহানের দলবল। সেই শাহজাহান সূত্রেই উঠে আসে সন্দেশখালি-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা এবং জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি (বহিষ্কৃত) উত্তম সর্দারের নাম। 

৭ ফেব্রুয়ারি- শাহজাহানের দলবলের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও জমি দখলের অভিযোগে উত্তাল হয় সন্দেশখালি। বাঁশ, কাটারি, দা, হাতা, খুন্তি, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। পরের দিন ভাঙচুর করা হয় শিবুর বাগানবাড়ি এবং পোল্ট্রি ফার্ম। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সন্দেশখালির মহিলারা অভিযোগ করেন, রাতবিরেতে মিটিংয়ের নামে ডেকে পাঠাত শিবু হাজরা। তাদের উপর চলত নির্যাতন।  

১০ ফেব্রুয়ারি- রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে উত্তম সর্দারকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক। তিনি জানান, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেফতার করা হয় উত্তম সর্দারকে। 

১২ ফেব্রুয়ারি- সন্ধেয় উত্তমকে জামিন দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত। ফের তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট থানায়। ইতিমধ্যে মহিলাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১০ সদস্যের তদন্তকারী দলও গঠন করে পুলিশ। অন্যদিকে, শিবু হাজরার খোঁজ মিলছিল না।    

Advertisement

১৫ ফেব্রুয়ারি- সন্দেশখালির মহিলাদের অভিযোগ শুরু থেকে খণ্ডন করে আসছিল তৃণমূল। এই দিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'মুখে মাস্ক পরে ছবি তুলছিল। বাইরে থেকে লোক এনে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল। সন্দেশখালিতে শাহজাহানকে টার্গেট করে ইডি ঢুকল। তারপরই ওখানে আদিবাসী মা-বোনেদের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে দিল। আগে তো জানতে হবে ব্যাপারটা কী? ওখানে আরএসএসের একটা বাসা আছে। ৭-৮ বছর আগে ওখানে দাঙ্গা হয়েছিল। কতগুলি দাঙ্গা-স্পটের মধ্যে এটাও একটা স্পট।'     

১৭ ফেব্রুয়ারি- উত্তম ও শিবুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করে পুলিশ। তার পরই গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা। বদলি করা হয় রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) এবং বারাসতের ডিআইজি-কে। এডিজি হন সুপ্রতিম সরকার। ডিআইজি সুমিত কুমারকে সরিয়ে আনা হয় ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে।

হঠাৎ করে এক সপ্তাহ পরে কেন গণধর্ষণ মামলা? রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ব্যাখ্যা দেন, এক মহিলার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে উত্তম ও শিবুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ

গোটা ঘটনায় কি তৃণমূলের 'ফেস লস' হল? শাহজাহান সংখ্যালঘু মুখ বলেই কি ব্যবস্থা নেওয়া হল না?

bangla.aajtak.in-কে রাজ্যের মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন,'মহিলারা আগে অভিযোগ করেননি পুলিশে। যেমন অভিযোগ আসছে তার ভিত্তিতে মামলা করা হচ্ছে। আর অপরাধ অপরাধ! এর মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম আনবেন না। বিজেপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। অপরাধের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম বিষয় থাকতে পারে না।'     
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement