বিদায়ী সাংসদ তথা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে হুমকি চিঠি। এমনটাই অভিযোগ। লস্কর-ই-তৈবার নামে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। চিঠিতে হুমকি, যদি এনআরসি চালু হয়, তাহলে ঠাকুরবাড়ি (মতুয়া) উড়িয়ে দেওয়া হবে। ঠাকুরবাড়ির কাউকে বাঁচানো যাবে না। এই হুমকি তাঁকে দেওয়া হয়েছে যাতে সিএএ চালু করা না যায়, এমনটাই দাবি করেন শান্তনু ঠাকুর। যদিও তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, নিজের কারসাজিতেই এই চিঠি নিজেকে পাঠিয়েছেন শান্তনু।
বিদায়ী সাংসদ শান্তনু জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ২ টো ১০ মিনিটে তাঁকে এই চিঠি পাঠিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। চিঠিটি দেগঙ্গা থেকে এসেছে। এই চিঠির জন্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান শান্তনু। তিনি বলেন, 'বাংলায় এই অগণতান্ত্রিক অবস্থার জন্য এই রাজ্য সরকার। একজন বিদায়ী সাংসদকে এই চিঠি পাঠানো হচ্ছে অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে কতটা বিপজ্জনক পরিস্থিতি। আমি গৃহমন্ত্রীকে এই বিষয়টা জানাব। আগামী দিনে রাজ্যবাসীর কপালে কষ্ট আছে। তার প্রমাণ এই চিঠি। আমার মনে হয়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এটা লজ্জার যে তার সংগঠনগুলো আমাদের হুমকি দিচ্ছে।'
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। তিনি দাবি করেন, সিএএ নিয়ে শান্তনু যা বলছেন তা মিথ্যে। লোকসভা ভোটের আগে এটাকে ইস্যু করতে চাইছেন। এটা নাটক। নিজেই নিজেকে চিঠি পাঠিয়েছে। এর কোনও ভিত্তি নেই।
চিঠিতে কী লেখা? চিঠিতে শান্তনু ঠাকুরকে শ্রদ্ধেয় শান্তনু ঠাকুর বলে সম্বোধন করা হয়েছে। সেখানে লেখা, 'আশা করি ভালো আছেন। যাইহোক আপনাকে জানাচ্ছি যে, পশ্চিমবাংলায় যদি এনআরসি হয় এবং এনআরসি-র ফলে যদি মুসলমানদের উপর অত্যাচার হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা ভারত জুড়ে আপনাদের ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে। কাউকে আপনাদের ঠাকুর বাড়ি বাঁচাতে পারবে না। লস্কর ই তইবার নাম শুনেছেন তো! আমরা লস্কর ই তইবার সদস্য।'