দুই দিনের বঙ্গ সফরে রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এরই মধ্যে ওয়েস্টিন হোটেলে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভনের সঙ্গে শাহের প্রায় আধঘণ্টা ধরে কথাবর্তা চলে। এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এবার কি বিজেপিতে সক্রিয় হবেন শোভন। নিজের ফেসবুকে পোস্টে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বৈঠক রাজ্য রাজনীতির নতুন দরজা খুলে যাবে। এরপরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপিতে প্রায় দেড় বছর আগে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা একসময়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপিতে যাওয়ার পরেই একাধিক কারণে তাঁকে দলীয় বৈঠকে দেখা যাচ্ছিল না। দলের সমস্ত কর্মসূচির সঙ্গে নিজেকে দূরেই রাখতেন তিনি। ২০১৯ সালে আবার এক পা এগিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে হাজির হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখীও। তারপরেই জল্পনা ওঠে ফের কি তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন শোভন-বৈশাখী। যদিও এক বছর পরেও তেমন কোনও কিছু দেখা যায়নি। কিন্তু বিজেপির কোনওরকম কর্মসূচিতে দেখা যেত না তাঁদের। এমন অবস্থায় শহরে শাহের সঙ্গে শোভনের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কী জানালেন বৈশাখী
নিজের ফেসবুক পোস্টে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অমিত শাহ ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথা হয়েছে। দুই মহান রাজনৈতিক নেতা মতপ্রকাশ করেছেন রাজনীতির বিষয়ে। এই বৈঠক আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতির নতুন দিক খুলে যাবে। সেইসঙ্গে এই বৈঠকের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান, বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষ, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে।
দ্বিতীয় দিনের বাংলা সফরে এদিন শহরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে শাহের। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। সেইসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন সারবেন মতুয়া পরিবারে। এছাড়া দলীয় নেতাদের নিয়ে একাধিক বৈঠকও রয়েছে তাঁর। ২০২১ সালে রাজ্য বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে রাজ্যে পা রেখেছেন অমিত শাহ। এমন অবস্থায় বৈঠকের পরে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিকে সক্রিয় হবেন কিনা, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।