SSC Scam Calcutta high Court Justice Abhijit Ganguly: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নতুন মামলা দায়ের হল। এবার নবম-দশম শ্রেণিতে নিয়োগে দুর্নীতিক অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৪ জুলাই নবম-দশম শ্রেণির পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করেছ। সেখানে নম্বরের বিভাজনও ছিল। সেই তালিকা নিয়ে আপত্তি উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, এই মেধাতালিকা প্রকাশের সময় সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। এর পাশাপাশি আরও অভিযোগ, মেধাতালিকায় নাম নেই, অথচ তাঁরা চাকরি পেয়েছেন।
এই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলার অনুমতি দেন। এই মামলার শুনানি হতে পারে শুক্রবার।
মামলাকারীর দাবি, এসএসসি-র মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে। তবে তাতে সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। ওই মেধাতালিকার বাইরে অনেকে চাকরি পেয়েছেন। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এর আগেও মামলা
এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতায় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেনন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি এসএসসির ৪ প্রাক্তন এবং এখনকার কর্তা সিবিআই অফিসারদের কাছে হাজিরা দিয়েছে।
বামেদের তোপ
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে অভিযুক্ত মন্ত্রীদের বরখাস্ত করার দাবি তুললে বামফ্রন্ট। এর পাশাপাশি এই ইস্যুতে রাজ্যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। বুধবার এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে তারা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছে ফ্রন্ট।
অভিযুক্ত পার্থ-নাম জড়িয়ে পরেশের
এসএসসি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যের এখনকার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। এদিন পার্থবাবু কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসার হাজিরা দেন। তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই অফিসাররা।
কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল বাগ কমিটি। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএএসসি)-র গ্রুপ সি এবং ডি নিয়োগ নিয়ে এই কমিটি তৈরি হয়েছিল। ওই রিপোর্ট বলছে, ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। কমিটির আইনজীবী এমনই জানিয়েছেন।
বাগ কমিটির রিপোর্ট যা বলা হয়েছিল
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। তা পেশ করেন আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ করেছে ৩৮১ জন প্রার্থীকে। তার মধ্য়ে ২২২ জন পরীক্ষায় দেননি। আর বাকিরা ওই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি।
বেশ কিছু অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে, যে প্যানেল এই নিয়োগ করেছিল তার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০১৯ সালের মে মাসে। তারপর এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে। মানে প্য়ানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিয়োগ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অরুণাভবাবু জানিয়েছেন, নম্বর বাড়ানো হয়েছে এবং তারপর নিয়োগ করা হয়েছে। ওএমআর সিটেও কারচুপি করা হয়েছে।