Advertisement

ভোটের আগে বড় চমক! ওয়াইসির দলের বাংলার প্রধান তৃণমূলে

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম বা মিম)-এর বাংলার প্রধান আনোয়ার পাশা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সোমবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে দলের আরও অনেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এদিন ব্রাত্য জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলা থেকে মিমের সদস্যরা ধাপে ধাপে তৃণমূলে যোগ দেবেন। তৃণমূলের যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে আনোয়ার পাশা জানান, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারেন।

আনোয়ার পাশা
মনোজ্ঞা লইয়াল
  • কলকাতা,
  • 23 Nov 2020,
  • अपडेटेड 4:43 PM IST
  • মিম-এর বাংলার প্রধান আনোয়ার পাশা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে
  • রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন
  • ব্রাত্য জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলা থেকে মিমের আরও সদস্য তৃণমূলে যোগ দেবেন

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম বা মিম)-এর বাংলার প্রধান আনোয়ার পাশা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সোমবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে দলের আরও অনেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এদিন ব্রাত্য জানিয়েছেন, বিভিন্ন জেলা থেকে মিমের সদস্যরা ধাপে ধাপে তৃণমূলে যোগ দেবেন। তৃণমূলের যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে আনোয়ার পাশা জানান, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারেন।

এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রীর কাজে, এই সরকারের উন্নয়নের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মিমের এই সেবক, কর্মীরা এখানে উপস্থিত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক যে মিম, সে সংগঠনের সবাই কেনও ভাগাভাগি বা কোনও সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে না-ঢুকে একটা উদার, গণতান্ত্রিক, সর্বধর্ম সমন্বয়ের যে চেষ্টা এবং মেহনতী মানুষের পাশে থাকার যে অঙ্গীকার, আমাদের সরকার নিয়েছে, তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আমার এবং রাজ্য়ের আর এক মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন ওঁরা।''

পরে সাংবাদিকদের আনোয়ার পাশা জানান, বিহারে যা হয়েছে, তা চিন্তার। এআইএমআইএম ওখানে ২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে লড়েছিল। জিতেছে পাঁচটিতে। সেখানে পুরো ব্যাপারটার মেরুকরণ করেছে তারা। এটা খুব ভয়ঙ্কর জিনিস। আপনি একটা আসনে লড়ে আশপাশের পাঁচটি সিটে মেরুকরণের প্রভাব ফেলতে পারেন। আমি তো বলব উনি কন্ট্রাক্টর। বিজেপি চললে রাস্তায় কোনও নালা পড়লে সেতু বানানোর জন্য যেমন সিভিল কন্ট্রাক্টরকে ডাকা হয়, তেমন ওঁকে ডাকা হয়। আমাদের সেই কন্ট্রাক্টরের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও জানান, বাংলায় সব ধর্মের সহবস্থান রয়েছে। সেখানে বিভাজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভোট ভাঙিয়ে বিহারে শাসন ক্ষমতায় এসেছে গেরুয়া শক্তি। বিহারে যা হয়েছে তা বাংলায় হতে দেওয়া যাবে না। তাদের রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন।

Advertisement

তিনি দাবি করেন, তিনি মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইআইসিকে বাংলায় আসছে না করেছেন। তাঁরা বিহারে বিভাজনের রাজনীতি করেছে, যা বিজেপির পক্ষে গেছে। তারা বাংলায় এলে তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, '' আমি মিম ছাড়লাম আর তৃণমূল যোগ দিলাম তার কারণ মমতা ধর্মনিরপেক্ষ নেত্রী আর তিনিই একমাত্র বিজেপিকে রুখতে পারেন।''

মিম-এর মুখপাত্র সৈয়দ আসিম ওয়াকার বলেন, ''বাংলায় আমাদের কাছে লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যেই একজন উনি। গত এক বছর ধরে তিনি দল বিরোধী কাজে যুক্ত। অনেককে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তিনি দলের কোনও পদে নেই। যাঁরা যাওয়ার, তাঁরা চলে যাবেন। আমাদের যাঁরা মূল কাজ করার, তাঁরা করবেন।''

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement