আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট। পুলিশের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখা যায় না। মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। 'এই মামলায় রাজ্য সরকারের ও পুলিশের ভূমিকা তা আমি আমার গত ৩০ বছরের কেরিয়ারে কোনওদিন দেখিনি।' মন্তব্য করলেন বিচারপতি পারদিওয়ালা।
আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট আজ রাজ্য সরকার ও সিবিআই-এর কাছে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে কী হয়েছিল, তার রিপোর্ট জমা দেয় দুই পক্ষ। রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্য সরকারের ২১ জন আইনজীবী। তাঁদের হয়ে লিড করছেন কপিল সিব্বল। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে আইনজীবী রয়েছেন ৫ জন। তিন বিচারপতির বেঞ্চে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
শুনানির শুরুতেই বিচারপতিরা জানান, ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ পথ চেয়ে বসে আছে। এতে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রভাবিত হতে পারে।
এদিকে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা স্টেটাস রিপোর্টে জানায়, আরজি করের ঘটনাকে তথ্যপ্রমাণ করা হয়েছে। মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। শেষকৃত্যের পর এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়।
রাজ্য সরকার জানায়, সন্ধ্যা ৬টা ১০ থেকে ৭টা ১০-এর মধ্যে ময়নাতদন্ত হয়েছে। তখন সুপ্রিম কোর্ট জিজ্ঞাসা করে, তাহলে ময়নাতদন্তের পর কেন এফআইআর করা হল? এরকম তো হয় না। তখনই বিচারপতি পারদিওয়ালা রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জানান, তিনি তাঁর ৩০ বছরের কেরিয়ারে পুলিশের এমন গাফিলতি আগে দেখেননি। এই পুরো বিষয়টিই চমকে দেওয়ার মতো। বাংলা পুলিশের আচরণ লজ্জাজনক।
সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা স্টেটাস রিপোর্টে জানায়, পুরো বিষয়টিতে হাসপাতাল প্রশাসনের মনোভাব উদাসীন। দেরিতে নিহতের পরিবারকে ঘটনার তথ্য জানানো হয়। আত্মহত্যার কথা প্রথমে পরিবারকে জানানো হয়। হত্যাকে আত্মহত্যা বলার চেষ্টা হয়। যা সন্দেহের জন্ম দেয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আদালত তখন জানায়, পুলিশ ডায়েরি এবং ময়নাতদন্তের সময়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। অভিযুক্তের ডাক্তারি পরীক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।