রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নিয়ে হাইকোর্টের রায়ই বহার রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ হাইকোর্ট এই দুই সরোবরে ছট পুজোর বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, সেই রায়ই বহাল থাকছে। কেএমডিএ -এর তরফে ছট পুজোর বিষয়ে আবেদন করা হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
হাইকোর্টের রায় বহাল
নভেম্বরের ১০ তারিখ হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ, রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে ছট পুজোর বিষয়ে নিষেধ জারি করেছিল। যদিও আগেও পরিবেশ আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিল। কিন্তু ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পরিবেশ আদালতের সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখানো হয়। রবীন্দ্র সরোবরের গেটে ভেঙে বাজি ফাটিয়ে পালিত হয় ছট পুজো। আশঙ্কা সত্যি করে ছড়ায় দূষণও। যা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবেশবিদরা। এর পরেই হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। যদিও পাল্টা পরিবেশ আদালতে কলকাতার পুরসভার তরফে একটি আবেদন জমা পড়ে। সেটিও খারিজ হয়ে যায়।
চিন্তামুক্ত পরিবেশবিদরা
রবীন্দ্র সরোবরে শুধুমাত্র ছট পুজো নয়, পিকনিক, যে কোনও পুজো কিংবা অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
সরোবর চত্বরে এমন অনুষ্ঠানের জেরে ক্ষতির মুখে পড়ছে প্রাণীরাও। এমনটাও অভিযোগ পরিবেশ প্রেমীদের। রবীন্দ্র সরোবরে বর্তমানে ৩ প্রজাতির কচ্ছপ, ৩০ প্রজাতির সাপ, ৬০ ধরনের প্রজাপ্রতি ও প্রচুর বাখির বাস রয়েছে। পরিবেশ দূষণের ফলে এই প্রাণীরাও দিন দিন ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ পরিবেশবিদদের। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন পরিবেশকর্মীরা।
ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রংও। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, তৃণমূল ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। তারা অবাঙালি ভোটকে হারাতে চাইছে না। তাই ভোটের আগে এই প্রয়াস শুরু করেছে।