Advertisement

Sushanta Ghosh: 'সুশান্ত ঘোষ গুন্ডা, আমার জমি দখল করেছে', বিস্ফোরক মূল অভিযুক্ত আফরোজ

কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বাইকে করে বিহার পালানোর সময় অভিযুক্ত আফরোজ খান, ওরফে গুলজারকে পাকড়াও করে পুলিশ। এদিকে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানা থেকে বের করার সময় সাংবাদিকদের সামনে বিস্ফোরক কথা বলে দিলেন আফরোজ

অভিযুক্তকে চেনেন না বলে দাবি কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 Nov 2024,
  • अपडेटेड 12:21 PM IST

কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বাইকে করে বিহার পালানোর সময় অভিযুক্ত আফরোজ খান, ওরফে গুলজারকে পাকড়াও করে পুলিশ। এদিকে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানা থেকে বের করার সময় সাংবাদিকদের সামনে বিস্ফোরক কথা বলে দিলেন আফরোজ। বললেন, 'সুশান্ত ঘোষ গুন্ডা হ্যায়'। হিন্দিতে আরও বললেন, 'আমার ২ হাজার স্কোয়ার ফিটের উপর জায়গা দখল করে রেখেছে। তাই মেরেছি।'  

পুরোটাই অস্বীকার করেছেন সুশান্ত ঘোষ। বলেন, 'জমি-জমা সংক্রান্ত ব্যাপারে আমি থাকিই না। অভিযুক্তকে আমি চিনিও না।'

শনিবার পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আফরোজ। আদতে কসবার বাসিন্দা তিনি। এই আফরোজই সুশান্ত ঘোষকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করার চেষ্টার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, স্কুটি থেকে নেমে এসে এক যুবক পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে সুশান্তের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করছে। কিন্তু কোনও কারণে আগ্নেয়াস্ত্র কাজ করেনি। এদিকে ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া করেন সুশান্ত ও তাঁর সহযোগীরা। ধাওয়া করে বন্দুকধারীকে ধরে ফেলেন তাঁরা। স্কুটি নিয়ে অপর ব্যক্তি পালায়। 

প্রথমেই যাকে ধরা হয়েছিল, তার নাম যুবরাজ সিংহ বলে জানা যায়। বিহারের বাসিন্দা। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে নাকি তাকে খুনের 'সুপারি' দেওয়া হয়েছিল। বরাত দিয়েছিলেন স্থানীয় এক ব্যক্তিই, নাম- আফরোজ। এই তথ্য পাওয়ার পর থেকেই আফরোজের খোঁজে নামে পুলিশ। হাওড়া পার হওয়ার সময় এক টোল প্লাজ়ার সিসিটিভি ফুটেজে আফরোজকে বাইক নিয়ে যেতে দেখা যায়। আফরোজের আদি বাড়ি বিহারের জামুইতে। ফলে সম্ভবত বিহার পালানোরই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বুঝে যান তদন্তকারীরা। বাইকের নম্বর ধরেই অ্যালার্ট পাঠানো হয়। সেই মতোই পূর্ব বর্ধমানে জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং শুরু হয়। পরে বাইকের নম্বর মিলিয়েই আফরোজকে রাস্তা থেকে ধরে ফেলে পুলিশ। 

Advertisement

রিপোর্ট অনুযায়ী, রুবি হাসপাতাল লাগোয়া আনন্দপুর এলাকার গুলশন কলোনিতে থাকেন আফরোজ। সেখানে তাঁর জমিজায়গা রয়েছে। সেই জমি নিয়ে বিবাদ ছিল স্থানীয় এক প্রোমোটারের সঙ্গে বিবাদ ছিল তাঁর। এদিকে ওই প্রোমোটার নাকি সুশান্ত ঘোষের অনুগামী বলে দাবি আফরোজের। সেখান থেকেই কাউন্সিলর সুশান্তের সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত বলে দাবি অভিযুক্তের। যদিও পুরোটাই অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। তিনি জানান, গুলশান কলোনিতে তিনি সেভাবে যান না। সেখানকার রাজনীতির বিষয়েও ওয়াকিবহাল নন বলে দাবি করেন। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement