BJP-র নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ধস্তাধস্তি হয় গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের। দফায় দফায় ছড়ায় উত্তেজনা। তবে মিছিল শুরু হতেই পুলিশ আটকে দেয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁকে প্রিজন ভ্যানেও তোলা হয়।
তবে প্রিজন ভ্যানে তোলার আগে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, আটক করার জন্য তাঁর গায়ে মহিলা পুলিশ হাত দিয়েছেন। তা নিয়ে প্রতিবাদে সরবও হন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ পিটিএসের সামনে। সেখানে নবান্ন অভিযানের মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। তবে সেখানে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন : নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বৃহন্নলার সঙ্গে স্বামীর বিয়ে দিলেন মহিলা, ৩ জন একসঙ্গে করবেন সংসার
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে নর্থ কোরিয়া বানিয়ে দিয়েছে। আমাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পথ আটকে দিয়েছে পুলিশ। একথা বলতে বলতেই শুভেন্দু বলেন এক মহিলা পুলিশ কর্মীকে লক্ষ্য করে বলেন 'ডোন্ট টাচ মি। আপনি একজন মহিলা পুলিশ। আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। এরপর শুভেন্দু ওই মহিলা কর্মীকে লক্ষ্য করে বলেন, আপনি আমার গায়ে হাত দেবেন না। আমি আপনাকে গায়ে হাত দিতে দেব না। আপনি একজন মহিলা। আপনারা পুরুষ পুলিশ অফিসার ডাকুন। আমি কথা বলব। আপনারা আপনাদের সিনিয়ারকে ডাকুন। আইপিএস-কে ডাকুন। আমি কথা বলব।'
আরও পড়ুন : পুজোর আগেই রাজ্যের কর্মীদের DA পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা?
সেই সময় দক্ষিণ কলকাতার ডেপুটি কমিশনার আকাশ মাঘারিয়া সেখানে আসেন। তাঁকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আপনার মহিলা পুলিশ কর্মীরা কেন আমার গায়ে হাত দেবে। এটা তো উচিত নয়। আমি আইন মেনে চলা নাগরিক। আপনারাও আইন মেনে সব কিছু করবেন এই প্রত্যাশা রাখি।'
তখন পাশ থেকে একজন পুলিশ অফিসার বলে ওঠেন, 'পুলিশ তো পুলিশই। মহিলা-পুরুষের ব্যাপার নেই।'তখন শুভেন্দু বলেন 'এটা হতে পারে না। এখানে সব লেডি পুলিশ আমার গায়েও হাত দিচ্ছে। আমি হাইকোর্টে যাব।'