দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে শুক্রবার রাতে। এরপর থেকেই রাজ্য বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে শুরু করেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও শুভেন্দুর মতো শুক্রবার মন্তব্য করেছেন, 'যতই করো কান্নাকাটি, ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি।' পাশাপাশি শুভেন্দুর অভিযোগ সিপিএমের সঙ্গে সেটিং রয়েছে তৃণমূলের। তিনি বলেন, 'সিপিএম কোথাও আছে। দিল্লিতে ভাইপোর সঙ্গে সেটিং করে। কাটলেট খায়। আপনারা কেউ চান চন্দননগর, ধনেখালিতে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করেছে সিপিএম।'
লোকসভা ভোটের মুখে গ্রেফতার আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল-সহ বাকি বিরোধী দলগুলি। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে গ্রেফতার হতেই হবে।
শুক্রবার গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নীলডাঙ্গা এলাকায় একটি সভায় সুকান্ত বলেন, 'এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল যে কর্মরত মুখ্যমন্ত্রীরাও দুর্নীতিতে গ্রেফতার হতে পারেন। হেমন্ত সোরেন ও কেজরিওয়াল। মাফলার ঢুকে গেছে এবার হাওয়াই চটি রেডি হয়ে যাক। গরম পরছে হাওয়াই চটির সময় আসছে। হয়ত দেখব মুখ্যমন্ত্রী জেল থেকে সরকার চালাচ্ছেন। ক্যাবিনেট বৈঠক জেলে হচ্ছে।'
উল্লেখ্য, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বরাবরই সখ্য রয়েছে। এদিন মমতা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে লিখেছেন, 'মানুষের দ্বারা নির্বাচিত একজন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার তীব্র নিন্দা করছি। আমি সুনীতা কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁর পাশে থাকার কথা জানিয়েছি।'
তবে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও পাল্টা আক্রমণ করেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, 'এসব কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে চালাচ্ছে। সুকান্তবাবুকে বলব, এ সব না ভেবে আগে বালুরঘাট সামলান। প্রাক্তন সাংসদের লেটার হেড ছাপিয়ে রাখুন।'