শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বড় খবর। কোলাঘাটে তাঁর ভাড়া বাড়িতে মঙ্গলবার হানা দেয় পুলিশ। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। তিনি সাফ জানান, কোর্টের আদেশ অমান্য করে পুলিশ হানা দিয়েছে। এবার তার প্রতিবাদে কলকাতার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জয় সেনগুপ্ত হাইকোর্টে জানান, আগামী ২৫ মে নির্বাচনের আগে পুলিশ হেনস্থার উদ্দেশে তাঁর মক্কেলের বাড়ি যান। পুলিশের কাছে কোনও ওয়ারেন্ট বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না। এসব শুনে আদালত মামলা করার অনুমতি দেয়। শুক্রবার মামলার শুনানিতে হতে পারে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধেবেলা কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। আর সেই খবর পেয়ে কেশপুরের নির্বাচনী অনুষ্ঠান থেকে সোজা কোলাঘাট থানায় যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। অভিযোগ, কেশপুরে যখন শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন সেই সময় কোলাঘাটে তাঁর ভাড়া বাড়িতে পুলিশ সার্চ করতে যায়। বেডরুমে সার্চ করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও পুলিশের দাবি, তারা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু।
রাজ্যের বিরেধী দলনেতা বলেন, 'এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব।' কোলাঘাট থানার পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরেদেন তিনি। জানা যায়, শুভেন্দু অধিকারী যখন বাড়িতে ছিলেন না সেই সময় পুলিশ আসার পর স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে ঘেরাও করে। তারা কেন তল্লাশি চালাতে এসেছে তা জানতে চায়। এই নিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা শুরু হয়। এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়।
শুভেন্দু মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে হেনস্থা করছেন। নির্বাচন কমিশন কেন এখানকার পুলিশ আধিকারিক, এসপি-কে সাসপেন্ড করবে না? সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তারপরই বলেন, 'আমি হাইকোর্টে যাব। আইনি পথে লড়ব। গোটা বাংলার জনগণকে বলছি, কোন রাজত্বে আছি দেখেন। হাইকোর্টের অর্ডার অমান্য করেছে এই সরকার। আমি মমতার অত্যাচারের শিকার।'